Search
Close this search box.

রবিবার- ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বিজয় দিবস: বাঙালির আত্মমর্যাদা ও গৌরবের প্রতীক

বিজয় দিবস: বাঙালির আত্মমর্যাদা ও গৌরবের প্রতীক

১৬ ডিসেম্বর, বাংলাদেশের জাতীয় জীবনের এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। এই দিনটি শুধু একটি তারিখ নয়, এটি বাঙালির আত্মপরিচয়, আত্মমর্যাদা এবং বিজয়ের চূড়ান্ত স্বীকৃতির দিন। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালি জাতি অর্জন করেছে স্বাধীনতা, গড়ে তুলেছে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালি জাতি বিশ্ব মানচিত্রে স্থাপন করেছে নিজেদের অস্তিত্ব। তাই ১৬ ডিসেম্বর বাঙালির জন্য আনন্দ, গৌরব, এবং মুক্তির প্রতীক।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনির বর্বর আক্রমণে শুরু হয়েছিল এক দুঃসহ অধ্যায়। নিরীহ ও নিরস্ত্র বাঙালির ওপর চালানো হয়েছিল অমানবিক হত্যাযজ্ঞ। গ্রাম থেকে শহর, কোথাও রক্ষা পায়নি সাধারণ মানুষ। বাংলার মাটি রঞ্জিত হয়েছিল লাখো শহীদের রক্তে। এই নিপীড়ন, অন্যায় এবং হত্যা অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় বাংলার সাহসী মুক্তিকামী মানুষ।

বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের পথে অনুপ্রাণিত করে। তাঁর নেতৃত্বে বাঙালি জাতি দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জন করে বিজয়। মুক্তিবাহিনি এবং ভারতীয় সেনাবাহিনির যৌথ অভিযানে ১৬ ডিসেম্বর বিকেল ৪টা ১৯ মিনিটে ঢাকা রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তানি সেনাবাহিনির আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে আসে স্বাধীনতার স্বর্ণালী মুহূর্ত। এই বিজয়ের পেছনে রয়েছে লাখো শহীদের আত্মত্যাগ এবং অসংখ্য মা-বোনের সীমাহীন ত্যাগ।

বিজয়ের ৫৩ বছর পর আজকের বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে। তবে এই উন্নয়ন বজায় রাখতে আমাদের দায়িত্ব হলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করা। বিজয়ের যে মূল্য আমরা পেয়েছি তা রক্ষা করতে নতুন প্রজন্মকে দেশের প্রতি দায়িত্বশীল হতে হবে।

১৬ ডিসেম্বর আমাদের জন্য শুধু অতীত স্মৃতির দিন নয়, এটি ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা। এই দিনটি আমাদের শিখিয়েছে যে ত্যাগ ছাড়া বিজয় অর্জন সম্ভব নয়। আসুন, আমরা সবাই মিলে এই বিজয়ের মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখি।

আরও পড়ুন

সম্পর্কিত আরো খবর

জনপ্রিয়