Search
Close this search box.

সোমবার- ২৪শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শেখ হাসিনার ফেরত আনা ও বিচার সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য

শেখ হাসিনার ফেরত আনা ও বিচার সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম | ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হলো স্বৈরাচারী শাসক শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে তার বিরুদ্ধে সশরীরে বিচার সম্পন্ন করা। এ বিষয়ে সরকার দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের সাম্প্রতিক রিপোর্টে তার অপরাধ স্পষ্টভাবে প্রকাশ পেয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে তিনি ভারতে পালিয়ে গেছেন, কিন্তু তাকে ফেরত এনে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হবে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে শফিকুল আলম বলেন, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা শেখ হাসিনার অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। সম্প্রতি ইন্ডিয়া টুডের এক জরিপে দেখা গেছে, ৫৫ শতাংশ মানুষ শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর পক্ষে মত দিয়েছে। মাত্র ১৬-১৭ শতাংশ মানুষ তাকে ভারতে রাখতে চায়। এ থেকে বোঝা যায়, আন্তর্জাতিক মহলও তাকে শাস্তির আওতায় আনার পক্ষে।

আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জুলাই গণহত্যা এবং অতীতের গুম-খুনের ঘটনায় জড়িত সকলের বিচার সম্পন্ন হওয়ার পরই আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। যারা এ সকল অপরাধে যুক্ত ছিল, তাদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিসা নিষেধাজ্ঞা শিগগিরই উঠে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন শফিকুল আলম। তিনি বলেন, বিগত সময়ে আমিরাতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল। তবে বর্তমান সরকার এই সম্পর্ক উন্নয়নে ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছে। সরকারের বিশেষ সহকারী লুৎফে সিদ্দিকী আমিরাতের বিভিন্ন মন্ত্রীর সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা করেছেন। এতে করে বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে।

শফিকুল আলম আরও বলেন, আমিরাতের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও শ্রমবাজার উন্নয়নে নতুন পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের দক্ষ জনশক্তির জন্য নতুন কর্মসংস্থানের পথ উন্মুক্ত হবে।

সরকারের অগ্রাধিকার তালিকায় শেখ হাসিনার বিচারের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। একইসঙ্গে আমিরাতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন, বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও শ্রমবাজার সম্প্রসারণের দিকেও সমান গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন

সম্পর্কিত আরো খবর

জনপ্রিয়