Search
Close this search box.

সোমবার- ১০ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধে চালু হচ্ছে টোল-ফ্রি হটলাইন, আইন মন্ত্রণালয়ে বিশেষ সেল গঠন

যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধে চালু হচ্ছে টোল-ফ্রি হটলাইন, আইন মন্ত্রণালয়ে বিশেষ সেল গঠন
ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশে যৌন নিপীড়ন ও হয়রানির ঘটনা প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে সরকার একটি টোল-ফ্রি হটলাইন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাশাপাশি, ধর্ষণ সংক্রান্ত মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করতে আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি বিশেষ সেল গঠনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

রোববার (৯ মার্চ) সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানান, যৌন নিপীড়ন ও হয়রানির শিকার ব্যক্তিরা সহজেই প্রতিকার পেতে যেন অভিযোগ জানাতে পারেন, সে লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশের পক্ষ থেকে একটি হটলাইন চালু করা হবে। এটি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কার্যকর হবে এবং ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে।

এই হটলাইনে ফোন করে যে কেউ নিপীড়ন বা হয়রানির ঘটনা সম্পর্কে অভিযোগ জানাতে পারবেন। সেই অভিযোগ দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে পুলিশের একটি বিশেষ ইউনিট দায়িত্ব পালন করবে,” বলেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, ধর্ষণ সংক্রান্ত মামলাগুলোর কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি পৃথক সেল গঠন করা হবে।

আইন উপদেষ্টা বলেন, ধর্ষণের মামলাগুলোতে যাতে অহেতুক কালক্ষেপণ না হয় এবং ভুক্তভোগীরা দ্রুত বিচার পান, সেজন্য আইন মন্ত্রণালয়ে বিশেষ সেল গঠন করা হচ্ছে। এই সেল মামলাগুলোর অগ্রগতি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করবে এবং প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য করবে।

প্রধান উপদেষ্টার দফতরে অনুষ্ঠিত বৈঠকের বিষয় তুলে ধরে আসিফ নজরুল বলেন, বর্তমান সরকার নারীর প্রতি সহিংসতা ও নিপীড়ন প্রতিরোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। আমরা আরও কঠোর পদক্ষেপ নেবো যাতে কোনো অপরাধী আইনের ফাঁক গলে পালিয়ে যেতে না পারে।

এছাড়া, দিনাজপুরে শিশু ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সাইফুল ইসলামের জামিন বাতিলের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে এবং ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সরকার কঠোর অবস্থানে থাকলেও শুধু আইন প্রয়োগ করে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয় বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। তাই পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যম ও সামাজিক সংগঠনগুলোরও এ বিষয়ে আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখা জরুরি।

যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধ দমনে সরকার নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে, যা ভুক্তভোগীদের জন্য সুবিচার নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে। এই উদ্যোগের ফলে সমাজে নারীদের নিরাপত্তা আরও নিশ্চিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

 

আরও পড়ুন

সম্পর্কিত আরো খবর

জনপ্রিয়