
আল্লাহর যে কোনো সৃষ্টির প্রতি বিশ্বাস হারালের মানুষের ঈমান থাকে না। মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম যে পথে চলতে বলেছেন মানব জাতিকে তা থেকে দূরে সরিয়ে নিলে অথবা আদেশ উপদেশ অমান্য করলে সে ব্যক্তি ঈমান হারাবে।
এ কথা মনে প্রানে বিশ্বাস করতে হবে আল্লাহ সবকিছু সৃষ্টির মালিক। ইসলামের সব বিধানের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেই মানুষ ঈমানদার ও মুসলিম হয়। এর উপর ভিত্তি করে পরকালে ভালো মন্দের চূড়ান্ত ফয়সালা নির্ধারিত হবে।
মানুষ ইচ্ছা-অনিচ্ছায় কিংবা ঝগড়া-বিবাদে যদি অন্যায়ভাবে কাউকে একটি গালি দেয় কিংবা সে যা নয়, ওই নামে সম্বোধন করে ডাকে; এসব কারণে মানুষ গোনাহের সম্মুখীন হয়। তা মানুষের বিশ্বাসের মারাত্মক পরিপন্থী কাজ।
কোনো ব্যক্তিকে এমন কোনো বিষয়ে সম্বোধন করা ঠিক নয়; যে কাজের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা নেই। যদি তা করা হয় তবে তা অনেক সময় কুফরে পরিণত হয়। কেননা কোনো কিছুকে গোপন করাই হচ্ছে কুফর বা অবিশ্বাস।
তাছাড়া প্রাপ্যক্ষেত্রে শুকরিয়া না করলে কিংবা অকৃতজ্ঞ হওয়া কুফরের অন্তর্ভুক্ত। এ কারণেই ইসলামের বিশ্বাস মর্যাদা শুধু বেশিই নয়, বরং মুক্তির একমাত্র পথও বটে।
ইসলামি শরিয়তে ঈমান বা বিশ্বাস সম্পর্কে বক্তব্য হলো- ‘আল্লাহ তাআলা মানুষের প্রতি ওহির মাধ্যমে যেসব বিধি-নিষেধ দিয়েছেন তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন ও মেনে নেয়ার নামই ঈমান। এ সব বিষয়ের ওপর বিশ্বাসস্থাপন করা ফরজ। এ বিধানের বাইরে কোনো একটি অস্বীকার করাই কুফর বা অবিশ্বাস। যে ব্যক্তি আল্লাহর বিধানের অবাধ্য হয়ে তাকে মিথ্যা বলে জানবে, শরিয়তের আলোকে ওই ব্যক্তিই কাফের বা অবিশ্বাসী।
আল্লাহ প্রেরিত নবি-রাসুলদের মিথ্যা সাব্যস্ত করা কুফরি। আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের দেয়া হুকুম-আহকাম অহংকার করে অমান্য করার পাশাপাশি তা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানানো। নবি-রাসুলদের ব্যাপারে সত্য-মিথ্যা সাক্ষ্য না দিয়ে তাদের উপক্ষো করা এবং তাদের ব্যাপারে অমনোযোগী হওয়াও কুফর। আল্লাহ তাআলা প্রেরিত নবি-রাসুলদের ব্যাপারে সন্দেহ, সংশয় পোষণ করাও কুফরি। সমস্যা সমাধানে বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সিদ্ধান্ত ও দিকনির্দেশনার বিপরীতে অন্য কোনো ব্যক্তির সিদ্ধান্ত ও দিকনির্দেশনাকে উত্তম বলে মনে করাও কুফরি।মুখে ঈমানের কথা বলে অন্তরে বা গোপনে তা অস্বীকার করাও কুফরি। রাসুলু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যে কোনো দিকনির্দেশনাকে ঘৃণা বা অপছন্দ করাও কুফরি।
প্রতিটা মানুষকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে আল্লাহ দেখানো পথে চলতে হবে নবী রাসূলের প্রতিটা বাণী উপদেশ মেনে চলতে হবে।