
অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেন শহরে রবিবার দক্ষিণ ব্যাংক এলাকায় সরকারি সম্প্রচারকারী এবিসি’র অফিসের বাইরে প্রায় ৪০০ জন বিক্ষোভকারী গাজায় নিহত সাংবাদিকদের স্মরণে বিক্ষোভ করেছেন। ‘এবিসি স্টপ সাইলেন্সিং প্যালেস্টাই – র্যালি অ্যান্ড মার্চ’ শিরোনামের এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ব্রিসবেনের ‘জাস্টিস ফর প্যালেস্টাইন ম্যাগান-ডজিন’ সংগঠন।
অনেক বিক্ষোভকারী ‘প্রেস’ লেখা ভেস্ট পরে উপস্থিত ছিলেন, যাতে নিহত সাংবাদিকদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। একজন অংশগ্রহণকারী এবিসি-কে গাজার নিহত সাংবাদিকদের তালিকাও প্রদান করেন। বিক্ষোভকারীরা সংবাদমাধ্যমগুলিকে আরও ব্যাপকভাবে যুদ্ধের খবর প্রচারের আহ্বান জানান।
সংগঠনটি তাদের ফেসবুক পোস্টে অভিযোগ করেছে, এবিসি গণহত্যার খবর লুকাচ্ছে এবং কেবল মুখে তা উল্লেখ করছে। তারা আরও জানিয়েছে, ইসরায়েল গাজায় সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা দিচ্ছে এবং বিশেষভাবে ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে। অক্টোবর ২০২৩ থেকে ২৭০ এর বেশি ফিলিস্তিনি সাংবাদিক নিহত হয়েছে, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নিহত সাংবাদিকের সংখ্যার চেয়ে চারগুণ বেশি।
একই সঙ্গে, সংগঠনটি এবিসি কর্মচারী অ্যান্টোইনেট লাত্তুফের ‘অন্যায় বরখাস্ত’ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রবর্তিত কঠোর সামাজিক যোগাযোগ নীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। লাত্তুফ জুন মাসে আদালতে জয়লাভ করেন, যেখানে বলা হয়, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর গাজার যুদ্ধ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ পোস্টের কারণে তাকে অন্যায়ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছিল।
বিক্ষোভকারীরা উল্লেখ করেছেন, এটি একটি পাবলিক ব্রডকাস্টার, যার বার্ষিক বাজেট এক বিলিয়ন ডলার। তাদের মতে, এবিসি উচিত তার নিজস্ব কর্মীদের বাক স্বাধীনতা সীমিত না করে যুদ্ধ ও মানবাধিকার সংক্রান্ত খবর যথাযথভাবে সম্প্রচার করা।