আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা এবং সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুকে দুর্নীতির অভিযোগে রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক। তিনি জানান, আমুর নামে একাধিক মামলা রয়েছে, যা আদালতে উপস্থাপন করা হবে।
দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের অনুসন্ধান
গত আগস্ট মাসে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আমির হোসেন আমুর বিপুল পরিমাণ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের সন্ধান পায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার এবং দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। দুদক বর্তমানে তার আয়ের উৎস এবং সম্পদের বৈধতা খতিয়ে দেখছে।
স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের হিসাব
দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, আমু ধানমন্ডিতে দুটি ফ্ল্যাটের মালিক, রূপনগরে একটি প্লট, সাভারে অকৃষিজমি এবং ইস্কাটনে একটি বাগানবাড়ির মালিক। এছাড়াও, বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তার ১১ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ রয়েছে। সব মিলিয়ে, তার নামে প্রায় ২০ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। দুদক মনে করছে, প্রকাশ্য অনুসন্ধানের মাধ্যমে আরও অবৈধ সম্পদের তথ্য পাওয়া যেতে পারে।
নির্বাচনী এলাকার দুর্নীতির অভিযোগ
মন্ত্রী থাকাকালে আমির হোসেন আমু ঝালকাঠি ও নলছিটির স্কুল, এলজিইডি, শিক্ষা প্রকৌশল এবং বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ ও ঠিকাদারি কাজ থেকে চাঁদা নিতেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এসব দুর্নীতির মাধ্যমেও তিনি বিপুল পরিমাণ অর্থ-সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।