আসন্ন বিশ্ব ইজতেমা ও কাকরাইল মসজিদ নিয়ে তাবলিগ জামাতের সাদ ও জুবায়েরপন্থিদের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে। রাজধানীর কাকরাইল মসজিদে বর্তমানে তাবলিগ জামাতের দু’টি গ্রুপের অবস্থান নিয়ে বিপজ্জনক দ্বন্দ্বের আশঙ্কা করছেন সাধারণ মুসল্লিরা। সম্প্রতি, ঢাকার আলমি শুরা বা জুবায়েরপন্থি অনুসারীরা কাকরাইল মসজিদে স্থায়ীভাবে অধিকার দাবি করে একটি ঘোষণা দিয়েছে। বিপরীতে মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরাও ১৫ নভেম্বর কাকরাইল মসজিদে প্রবেশের ঘোষণা দিয়েছে।
কাকরাইল মসজিদে পূর্বে প্রশাসনের সিদ্ধান্তে সাদ ও জুবায়েরপন্থিরা পর্যায়ক্রমে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। তবে এবার উভয় গ্রুপই নিজেরা আলাদা কোনো সময়সীমা না মেনে স্থায়ী দখল নিতে চাইছে, যার ফলে বিরোধের আশঙ্কা আরো প্রবল হয়েছে। মসজিদের একাংশে আগে থেকেই জুবায়েরপন্থিরা স্থায়ীভাবে থেকে আসলেও সম্প্রতি হেফাজতে ইসলাম এবং কওমি মাদরাসার ছাত্রদের সহযোগিতায় জুবায়েরপন্থিরা পূর্ণ দখল নিতে চাইছে বলে জানানো হয়েছে।
এর বিপরীতে সাদপন্থিরা বৃহৎ জনশক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে কাকরাইল মসজিদের উপর তাদের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার ইঙ্গিত দিয়েছে। তাদের মিডিয়া সমন্বয়ক মো. সায়েম জানান, তাদের পক্ষ থেকে শান্তিপূর্ণ আলোচনা অব্যাহত থাকলেও জুবায়েরপন্থিরা সংঘর্ষের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
আরো দেখুন ╰┈➤…
সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জের ধরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কাকরাইল ও এর আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। তারপরও পরবর্তীতে দু’পক্ষই বিভিন্ন সময়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তাদের দাবিগুলো তুলে ধরেছে।
বিশ্ব ইজতেমার তারিখ ঠিক হলেও কোন পক্ষ আগে ইজতেমা পরিচালনা করবে, সে বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি। আলমি শুরার পক্ষ থেকে মাদ্রাসা ছাত্রদের একত্র করে ঢাকায় সমাবেশের মাধ্যমে সাদপন্থিদের বিরোধিতা করেছে এবং বিভিন্ন দাবি উত্থাপন করেছে।