তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম সম্প্রতি বলেছেন যে, অন্তর্বর্তী সরকার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং সমাবেশের অধিকার সুরক্ষিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ১০০ দিনের সরকারের সাফল্য নিয়ে বাসসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, সরকার মিডিয়ার উপর কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করেনি এবং মিডিয়াকে তার কাজ করার সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে।
মাহিদ ইসলাম উল্লেখ করেন, মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে এমন স্বাধীনতা বাংলাদেশে কখনো দেখা যায়নি। তিনি সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়ে কথা বলেন এবং জানান, নতুন নীতিমালা প্রণয়নের কাজ চলছে যাতে সাইবার অপরাধ মোকাবিলা করা যায়। এই সরকারের সময় সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে কোনো বাধা তৈরি হয়নি, বরং প্রতিটি মিডিয়াকে তার পেশাগত দায়িত্ব পালনে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে।
উপদেষ্টা আরও জানান, সরকার তার প্রথম ১০০ দিনে সাংবাদিকদের কল্যাণে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। আহত সাংবাদিকদের সহায়তা প্রদান, বৃত্তি ব্যবস্থা, এবং সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট ইতোমধ্যে ৩৫০ জন সাংবাদিককে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে এবং বিভিন্ন বোর্ড ও কমিটি গঠনে যোগ্য প্রার্থী অনুসন্ধান করছে।
মিডিয়া সংস্কার কমিশন একটি রোডম্যাপ তৈরি করছে যা মিডিয়ার মানোন্নয়ন ও সাংবাদিকদের পেশাগত উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করবে। তাছাড়া, মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলো জুলাই বিপ্লব এবং ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদী সরকারের অপরাধ সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করছে।