
আজ সকালে বাস চাপায় এক পথচারী নারীর মৃত্যু হয়েছে। মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকালে নেত্রকোনার পূর্বধলায় এলাকায়। দুর্ঘটনার পরে ঘাতক বাসটিকে আটক করা হয়, এবং ঘটনাস্থল থেকে বাসের ড্রাইভার ও হেলপার তাৎক্ষণিকের মধ্যে পালিয়ে যায়।
(২রা সেপ্টেম্বর) মঙ্গলবার শ্যামগঞ্জ-বিরিশিরি সড়কের উপজেলার বড় ইলাশপুর (চৌরাস্তা) এলাকায় মঙ্গলবার ৮ টা ৩০ শে এই মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনাতে ঘটে। এখনো পর্যন্ত নিহত নারীর কোন পরিচয় এখনো পযর্ন্ত পাওয়া যায়নি, তবে নিহত হওয়া নারী পরনে ছিল বোরখা।
দুর্ঘটনাটির পর মুহূর্তের মধ্যে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।এলাকাবাসী ও পুলিশের সূত্রে জানা যায়, র্ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ১০০ গজ দূরেই একটি বাস কাউন্টার অবস্থিত। যাত্রীবাহী বাসটি সেই বাস স্ট্যান্ড যাচ্ছিল। যাওয়ার পথে বড় ইলাশপুর চৌরাস্তার কাছে পৌঁছালে বাসটির গতি বেশি বাড়ানো হয়, যার করেনে চালক সড়কের পাশে হেঁটে যাওয়া পথচারীকে লক্ষ্য করেননি এ কথা জানিয়েছেন বাসে অবস্থানরত যাত্রীরা।যার ফলে পথচারী ওই নারীকে চাপা দেয় বাসটি।
বাসটি এর আগে সকালে ময়মনসিংহ থেকে বিরিশিরিগামী (ঢাকা মেট্রো চ-৮৮৪৩) থেকে যাএা শুরু করেন। পূর্বধলা থানার পুলিশ দূর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নুরুল আলম এ বিষয়ে জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। এর পর ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে।তিনি আরোও বলেন চালক ও হেলপার ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেছে। তাদের শনাক্ত ও আটকের জন্য আমরা অভিযান চালাচ্ছি। এখনো নিহত সেই নারীর নাম-পরিচয় কোনো কিছুই জানা যায়নি।
দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই রাস্তায় বেশির ভাগ এমন দুর্ঘটনা ঘটে যার ফলে প্রাণ হারাতে হয় অসংখ্য মানুষকে। চালকেরা দ্রুতগতিতে বাস চালায়, অনেক সময় যাত্রী ওঠানামার সময়ও ঠিকমতো থামে না। স্থানীয়রা এও জানান যে, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা আইনের অভাবে কেউ এর দায় নিচ্ছে না।
বাসচালক ও হেলপারকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশ সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সেই সাথে এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ এবং নিহত নারীর পরিচয় শনাক্ত করে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলাচ্ছেন।