বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত আবদুল্লাহ (২৩) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সকাল ১০টায় তার মৃত্যু হয়। তিন মাস আগে, গত ৫ আগস্ট রাজধানীর বংশাল থানার সামনে গুলিবিদ্ধ হন তিনি।
আবদুল্লাহ যশোরের বেনাপোলের বাসিন্দা ছিলেন এবং শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। ৫ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টায় বংশাল থানার সামনে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় তিনি গুলিবিদ্ধ হন। গুলিটি তার কপালের মাঝ বরাবর লাগে। আহত অবস্থায় তিনি দুই থেকে তিন ঘণ্টা রাস্তার পাশে পড়ে ছিলেন। পরে তাকে প্রথমে মিটফোর্ড হাসপাতাল এবং পরে ঢাকা মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়। ঢাকা মেডিকেলে অপারেশনের পর আবদুল্লাহ কিছুটা সুস্থ হন এবং তাকে বাসায় পাঠানো হয়। কিন্তু কিছুদিন পর যশোরে প্রচণ্ড মাথা ব্যথার কারণে আবার তাকে ঢাকায় আনা হয়। চিকিৎসকরা তখন তার মাথার ভেতরে সংক্রমণ দেখতে পান, যা তরল পদার্থের মতো বের হতে থাকে। দ্বিতীয়বার অপারেশন করা হলেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে ২২ আগস্ট সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়।
দীর্ঘ চিকিৎসার পরও আবদুল্লাহর অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় অবশেষে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। চিকিৎসকরা মাথার গুরুতর সংক্রমণ এবং অপারেশন-পরবর্তী জটিলতাকে তার মৃত্যুর মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উপ-কমিটির সদস্য ইয়ামিন এই মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
আবদুল্লাহর মৃত্যুকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একটি বড় ক্ষতি হিসেবে দেখছেন তার সহযোদ্ধারা। তিনি আন্দোলনের শুরুর দিক থেকেই সক্রিয় ছিলেন এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছিলেন।