সিলেট সীমান্তে ভারতের তিনটি শুল্ক স্টেশনে প্রতিবন্ধকতার কারণে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ভারতের সুতারকান্দি, করিমগঞ্জ, এবং ডাউকি বর্ডার দিয়ে গত কয়েকদিন ধরে পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকায় সীমান্তে আটকা পড়েছে প্রায় ৬০০ ট্রাক। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা।
ভারতে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ এবং ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতার দাবিতে সুতারকান্দি বর্ডারে হিন্দু ঐক্যমঞ্চের ব্যানারে বিক্ষোভ শুরু হয়। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশের চেষ্টা করলে বিএসএফ ও পুলিশ বাধা দেয়। এ ঘটনার জের ধরে সুতারকান্দি এবং করিমগঞ্জ বর্ডারে বাণিজ্য কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে।
তামাবিল স্থলবন্দরে পণ্য পরিমাপের নিয়ম নিয়ে অসন্তোষের কারণে পাথর এবং চুনাপাথর আমদানি বন্ধ রয়েছে। ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন, বন্দরের নতুন নিয়মে মাটি ও বালির ওজনও পণ্যের সঙ্গে যোগ করা হচ্ছে, যা তাদের জন্য লোকসানের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সিলেট চেম্বারের সাবেক পরিচালক আতিক হোসেন জানিয়েছেন, সুতারকান্দি বর্ডারে পাথর এবং বিভিন্ন পণ্যবাহী ২০০ ট্রাক আটকে আছে। এছাড়া ডাউকি বর্ডারে ৩০০ ট্রাক এবং করিমগঞ্জে ফল ও কাঁচামাল বোঝাই ৫০টি ট্রাক আটকে পড়েছে। এভাবে প্রতিদিনই ব্যাংক ঋণের সুদ গুনতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।
পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকায় লোড-আনলোড কাজ বন্ধ রয়েছে। ফলে পাথরভাঙার কারখানার হাজার হাজার শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। ব্যবসায়ীরা উভয় দেশের সরকারের কাছে দ্রুত হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন।
সিলেট সীমান্তে চলমান পরিস্থিতি দ্রুত সমাধান করা না হলে দীর্ঘমেয়াদে উভয় দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।