তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে রংপুরের গঙ্গাচড়া ও কাউনিয়া উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে দুই উপজেলায় পাঁচ হাজারের বেশি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
কাউনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ মহিদুল হক সোমবার দুপুরে বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শনকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সদ্যপ্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, কাউনিয়ার তিস্তা রেলসেতু পয়েন্টে নদীর পানি বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি পেয়ে ঢুষমারা, তালুক শাহবাজ, পূর্ব নিজপাড়া, গোপীডাঙ্গা, আরাজি হরিশ্বর, চর প্রাণনাথ, বিশ্বনাথ, হরিচরণ শর্মা ও হয়বতখাঁ গ্রামের তিন শতাধিক পরিবারের বাড়িঘর তলিয়ে গেছে। এছাড়া আমন ধান ও সবজির খেতসহ পুকুর ও মাছের খামারও পানিতে ডুবে গেছে।
ডালিয়া ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দেওয়ায় তিস্তার পানি ভাটিতে দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে নদীতীরবর্তী এলাকায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের ঢুষমারার চর এলাকার চাষি নজরুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টি ও উজানের ঢলে আমাদের দেড়শ’ পরিবারের ঘরবাড়ি এবং বহু চাষির ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে।
টেপামধুপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ রাশেদুল ইসলাম জানান, তার ইউনিয়নের চারটি গ্রামের শতাধিক ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি প্লাবিত হয়েছে এবং নদীভাঙন বেড়েছে।
এদিকে, গঙ্গাচড়া উপজেলার গঙ্গাচড়া, লীটারী, গজঘণ্টা, মর্নেয়া, নোহালী, আলমবিদিতর ও কোলকোন্দ ইউনিয়নের তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলেও পানি ঢুকে পড়েছে। হাঁটুসমান পানিতে তলিয়ে গেছে অনেকের ঘরবাড়ি।





















