বাংলাদেশের চলচ্চিত্র পরিচালক মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী। একজন পরিচিত মুখ। তার নির্মাণে বুদ্ধিমত্তা আর নতুনত্বের ছোঁয়া থাকলেও, অনেকেই তাকে সামাজিক মূল্যবোধের বিপর্যয়কারী হিসেবে দেখছেন। তিনি সৃজনশীল উপায়ে সমাজে অশ্লীলতা ও অসামাজিক ধারণার প্রসার ঘটাচ্ছেন বলে অনেকে মনে করেন।
চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বিতর্কিত ধারণার প্রচার
ফারুকীর প্রথম চলচ্চিত্র “ব্যাচেলর” থেকে শুরু করে, তার বেশ কয়েকটি সিনেমায় বিতর্কিত বিষয় উঠে এসেছে। “লিটনের ফ্ল্যাট” শব্দটি তার “ব্যাচেলর” সিনেমায় প্রণয়িত হয়েছে। এই ধারণাটি যেন বাঙালি সংস্কৃতিতে লিভ-টুগেদারকে স্বাভাবিক করতে কাজ করেছে। পরবর্তীতে তার “থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার” চলচ্চিত্রে, পরকীয়াকে মানবিক হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যা সমাজের জন্য উদ্বেগজনক।
সামাজিক নৈতিকতার চ্যালেঞ্জ
ফারুকীর আরেকটি চলচ্চিত্র, “টেলিভিশন”। এখানে টেলিভিশনের গুরুত্ব তুলে ধরা হলেও, সমালোচকরা বলছেন এটি রক্ষণশীল ধর্মীয় মূল্যবোধকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তার সর্বশেষ চলচ্চিত্র “ডুব”-এ, এক মধ্যবয়স্ক পুরুষের তরুণীর প্রতি আসক্তি তুলে ধরেছে, যা পরিবার ও সমাজে বিভ্রান্তি ছড়াতে পারে।
আরো দেখুন ╰┈➤…
সমকামিতা ও অন্য বিষয় নিয়ে বিতর্ক
তার সহধর্মিণী তিশাও তার সিনেমায় এবং নাটকে অসামাজিক বিষয়বস্তু প্রচারে অংশ নিচ্ছেন। দুই বছর আগে, তিনি সমকামীদের অধিকার নিয়ে নাটকে অভিনয় করেন। এই নাটক ও চলচ্চিত্রগুলোকে সমাজে অশ্লীলতার প্রসার ঘটানোর একটি কৌশল বলে সমালোচকরা মনে করেন।
মুসলিম সংস্কৃতির উপর প্রভাব
মুসলিম সমাজের মূল্যবোধ ও রীতি-নীতি ফারুকীর চলচ্চিত্রে আক্রমণের শিকার বলে মনে করছেন অনেকে। তার সিনেমায় ইসলামী কালচারের সাথে ব্যঙ্গ বা আঘাত প্রদর্শিত হয় বলে অভিযোগ করা হয়। এছাড়াও, তার বিতর্কিত ছবি “হলি আর্টিজান” নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এতে ইসলামকে নেতিবাচকভাবে দেখানো হয়েছে বলে কিছু দর্শক মনে করেন।
আলোচনার প্রয়োজন
ফারুকীর কাজ আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসা পেলেও, দেশের মধ্যে অনেকেই তার সৃজনশীলতাকে সামাজিক অবক্ষয়ের একটি মাধ্যম হিসেবে দেখছেন। ভবিষ্যতে সমাজে কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।