
রবিবার রাত ৯টা ২৭ মিনিট ৬ সেকেন্ডে শুরু হয় বছরের অন্যতম আকর্ষণীয় জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক ঘটনা—পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ। শুরুর দিকে চাঁদ আংশিকভাবে ঢাকা থাকলেও ধীরে ধীরে হারায় তার চিরচেনা রূপালি আভা। মধ্যরাতে চাঁদ কালচে লাল রঙে রূপ নেয়, যা জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের ভাষায় ‘ব্লাড মুন’।
এবারের পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ টানা ৮২ মিনিট স্থায়ী হয়, যা ২০২২ সালের পর দীর্ঘতম। পুরো গ্রহণকাল স্থায়ী হয় ৭ ঘণ্টা ২৭ মিনিট।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানান, যখন সূর্য ও চাঁদের মাঝখানে পৃথিবী অবস্থান নেয়, তখন পৃথিবীর ছায়া চাঁদের ওপর পড়ে। এর প্রভাবে চাঁদ রূপালি আলো হারিয়ে তামাটে বা লালচে রঙ ধারণ করে। তবে চাঁদের কক্ষপথ হেলে থাকায় প্রতি পূর্ণিমায় এ ঘটনা ঘটে না; সাধারণত বছরে দুই থেকে তিনবার চন্দ্রগ্রহণ দেখা যায়।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, এবারের চন্দ্রগ্রহণ ইন্দোনেশিয়ার হিলা দ্বীপ থেকে শুরু করে কেনিয়ার মোম্বাসা বন্দর পর্যন্ত সম্পূর্ণরূপে দৃশ্যমান ছিল। তবে উত্তর আমেরিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার কিছু অংশ থেকে এই বিরল দৃশ্য দেখা যায়নি।