
প্রতিদিন বিভিন্ন বয়সী মানুষ কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদে মানত দিতে আসে। দানবাক্স খোলার সময় কোটি কোটি টাকার দেশি-বিদেশি মুদ্রা, স্বর্ণ ও রৌপ্যালংকার পাওয়া যায়।
কিশোরগঞ্জ শহরের নরসুন্দা নদীর চরে অবস্থিত পাগলা মসজিদ শত বছরের ইতিহাসে দর্শক ও ভক্তদের জন্য পরিচিত। মুসলিম-হিন্দুসহ বিভিন্ন ধর্মের মানুষ এখানে মানত ও দানের জন্য আসে। নগদ টাকা, স্বর্ণ, রৌপ্যালংকারের পাশাপাশি গরু-মহিষ, ভেড়া-ছাগল ও মুরগি দান করা হয়।
দানবাক্স প্রতি তিন মাস অন্তর খোলা হয়। সর্বশেষ ৩০ আগস্ট পাগলা মসজিদের ১৩টি সিন্দুক থেকে গণনা করে ১২ কোটি ৯ লাখ ৩৭ হাজার ২২০ টাকা পাওয়া গেছে। জেলা প্রশাসক, স্থানীয় পৌরসভা ও রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তারা এই অর্থ গণনা ও ব্যবস্থাপনা করেন।
দান থেকে মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা এবং দরিদ্র ও অসুস্থদের সহায়তা করা হয়। ভবিষ্যতে একটি আন্তর্জাতিক মানের ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে, যা বাস্তবায়ন হলে একসঙ্গে ৩০ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। পাগলা মসজিদ আধ্যাত্মিক ও ঐতিহাসিক দিক থেকে দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় কেন্দ্র।