বাংলা চলচ্চিত্রের বরেণ্য অভিনেতা প্রবীর মিত্র রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল (রোববার) রাত ১০টা ১০ মিনিটে মৃত্যুবরণ করেন। প্রবীর মিত্রের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর।
২২ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে প্রবীর মিত্র শারীরিক জটিলতা এবং অক্সিজেন স্বল্পতার কারণে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানেই দীর্ঘ চিকিৎসার পর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
চলচ্চিত্রে কাজ করার সময় প্রবীর মিত্র ধর্ম পরিবর্তন করে সনাতন থেকে মুসলিম হন। এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, “আমি কনভার্ট হয়েই ওর মাকে বিয়ে করেছিলাম। তখন প্রয়োজন হয়েছিল মুসলমান হওয়া।” ধর্ম সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য ছিল, “ধর্ম নিয়ে আমার কোনো বাড়াবাড়ি নেই। সবার উপরে মানুষ সত্য, তার উপরে কিছু নেই।”
প্রবীর মিত্র ১৯৪৩ সালের ১৮ আগস্ট কুমিল্লার চান্দিনায় জন্মগ্রহণ করেন। পুরান ঢাকায় বেড়ে ওঠা এ অভিনেতা স্কুলজীবন থেকেই নাট্যচর্চার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। স্কুলজীবনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ডাকঘর’ নাটকে অভিনয় করে তিনি সবার নজর কাড়েন।
১৯৬৯ সালে প্রয়াত পরিচালক এইচ আকবরের ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তাঁর চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়। যদিও ছবিটি মুক্তি পায় ১৯৭১ সালে। প্রথমদিকে নায়ক চরিত্রে অভিনয় করলেও পরে চরিত্রাভিনেতা হিসেবে তিনি দর্শকদের মন জয় করেন।
তাঁর চার শতাধিক চলচ্চিত্রের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—তিতাস একটি নদীর নাম, জীবন তৃষ্ণা, ফকির মজনু শাহ, অঙ্গার, রঙিন নবাব সিরাজউদ্দৌলা, চরিত্রহীন, অলংকার, সর্বশেষ চলচ্চিত্র প্রবীর মিত্র তাঁর ক্যারিয়ারের শেষদিকে ‘রঙিন নবাব সিরাজউদ্দৌলা’ চলচ্চিত্রে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন।