ইরানের সামরিক স্থাপনায় ইসরাইলের ভোরের বিমান হামলার পর বিশ্বজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। রাশিয়া, যাদের মধ্যপ্রাচ্যে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থ রয়েছে, এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং ইরান ও ইসরাইলের শত্রুতা "উত্তেজনার বিস্ফোরণ" বলে অভিহিত করেছে। শনিবার ভোরে ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। তেহরান ও তার আশেপাশে হামলাগুলো চালানো হয়, যা পরিস্থিতিকে আরও ঘোলাটে করে তুলেছে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এক বিবৃতিতে বলেন, ‘‘আমরা সকল পক্ষকে সংযত আচরণের আহ্বান জানাই এবং সহিংসতা বন্ধের ওপর গুরুত্বারোপ করছি। যে কোনো ধরনের বিস্ফোরক পরিস্থিতি সৃষ্টি প্রতিরোধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিত।’’ রাশিয়া উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছে, এই উত্তেজনা পুরো মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতের বিস্তারের কারণ হতে পারে এবং এটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে।
এই হামলার পর, ইসরাইল ইরানকে প্রতিশোধমূলক হামলা চালানোর বিপরীতে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। ইসরাইল বলেছে, যদি ইরান কোনো পাল্টা আঘাত হানে, তাহলে তার মাশুল চুকাতে হবে। ইসরাইলের এই হুঁশিয়ারির পর যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যও ইরানকে সতর্ক করেছে।
মধ্যপ্রাচ্যের এই উত্তেজনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও সম্প্রতি ব্রিকস সম্মেলনে ইরান-ইসরাইল সংঘাতের তীব্রতা নিয়ে সতর্ক করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘এই সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধে পরিণত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।’’ তেহরানের সঙ্গে মস্কোর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকায়, রাশিয়া এই সংঘাতকে আরও বড় ধরনের আঞ্চলিক বিপর্যয়ে পরিণত হওয়া প্রতিরোধে উদ্যোগী হচ্ছে।