ভারত সরকার ২০৩৬ সালের অলিম্পিক গেমস আয়োজনের ইচ্ছা প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটিতে (আইওসি) আনুষ্ঠানিকভাবে আগ্রহপত্র জমা দিয়েছে। গত ১ অক্টোবর ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটির ‘ফিউচার হোস্ট কমিশনে’ এ চিঠি প্রেরণ করা হয়। ভারতের এই উদ্যোগটি প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির অলিম্পিক আয়োজনের স্বপ্নকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছে।
সম্ভাব্য খেলা ও আয়োজক শহর
অলিম্পিক আয়োজনের অনুমোদন পেলে, ভারতীয় সরকার আয়োজনে যোগ করতে চায় বেশ কিছু দেশীয় খেলা, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ইয়োগা, কাবাডি, খো খো এবং দাবা। এ উদ্যোগটি ভারতীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে বৈশ্বিক মঞ্চে তুলে ধরতে সহায়ক হবে। এছাড়াও, সম্ভাব্য আয়োজক শহর হিসেবে ভারতের আহমেদাবাদ শহরটি গুরুত্ব পাচ্ছে, যদিও আইওসিতে প্রেরিত চিঠিতে নির্দিষ্ট কোনো শহরের নাম উল্লেখ করা হয়নি।
অলিম্পিক আয়োজনের দৌড়ে ভারতের প্রতিদ্বন্দ্বী দেশসমূহ
২০৩৬ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক আয়োজনের জন্য ভারতের পাশাপাশি আরও ১০টি দেশ প্রাথমিক আগ্রহ প্রকাশ করেছে। মেক্সিকো, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, পোল্যান্ড, মিশর এবং দক্ষিণ কোরিয়া অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে এগিয়ে রয়েছে। আইওসির প্রেসিডেন্ট থমাস বাখ ভারতে অলিম্পিক আয়োজনের আগ্রহকে ‘শক্তিশালী দাবি’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
কেন ২০৩৬ অলিম্পিক আয়োজন ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ
ভারতে অলিম্পিক আয়োজনের মাধ্যমে শুধু ক্রীড়াঙ্গনেই নয়, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, সামাজিক উন্নয়ন এবং যুবকদের ক্ষমতায়নেও বড় ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। ১৪০ কোটিরও বেশি জনসংখ্যার এই দেশে অলিম্পিক আয়োজনের মাধ্যমে একটি নতুন অধ্যায় রচিত হতে পারে।