
লেবাননের নতুন সরকারে হিজবুল্লাহর অংশগ্রহণ মেনে নেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মার্কিন উপ-মধ্যপ্রাচ্য বিশেষ দূত মরগান ওর্তাগাস। শুক্রবার লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউনের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওর্তাগাস বলেন, যুক্তরাষ্ট্র লেবাননের সরকারে হিজবুল্লাহর কোনো ধরনের প্রতিনিধিত্বকে মেনে নেবে না। এটি আমাদের জন্য একটি লাল রেখা। হিজবুল্লাহ লেবাননের জনগণকে সন্ত্রাসের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না এবং তাদের সরকারে অংশগ্রহণও গ্রহণযোগ্য নয়।
তিনি আরও বলেন, ইসরাইল হিজবুল্লাহকে সামরিকভাবে দুর্বল করে দিয়েছে এবং আমরা আমাদের মিত্র ইসরাইলের প্রতি কৃতজ্ঞ।” তিনি উল্লেখ করেন, “দীর্ঘ এক বছরের সংঘাতের পর দুই মাসের যুদ্ধে হিজবুল্লাহ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
লেবাননে নতুন সরকার গঠনের প্রচেষ্টা দীর্ঘদিন ধরে থমকে আছে। জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী মনোনীত হলেও এখনো কার্যকর সরকার গঠন সম্ভব হয়নি। ওর্তাগাসের মন্তব্য নতুন সরকার গঠনের ক্ষেত্রে আরও একটি চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ওর্তাগাসের মন্তব্যের পর হিজবুল্লাহর সমর্থকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। বৈরুতের রফিক হারিরি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে তারা বিক্ষোভ সমাবেশ করে। হিজবুল্লাহর বেশ কয়েকজন নেতা দাবি করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র লেবাননের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করছে।
প্রেসিডেন্ট আউনের সঙ্গে বৈঠকের পর ওর্তাগাস দক্ষিণ লেবাননে যান এবং লেবাননের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। একই দিনে ইসরাইল দক্ষিণ লেবাননের বেশ কয়েকটি স্থানে বিমান হামলা চালায়, যা যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন বলে মনে করা হচ্ছে।
ওর্তাগাসের মতে, একটি কার্যকর সরকার গঠনের জন্য দুর্নীতির অবসান, হিজবুল্লাহর প্রভাব কমানো এবং কাঠামোগত সংস্কার জরুরি।” তিনি আরও বলেন, “এই মুহূর্তে হিজবুল্লাহর জন্য রাজনীতিতে কোনো জায়গা থাকা উচিত নয়।