
অর্থ শতাব্দী আগে লিবিয়ার নিখোঁজ হওয়া প্রভাবশালী ধর্মীয় নেতা মুসা আল-সদরের রহস্য এখনো সমাধান হয়নি। তিনি শুধুই ভক্তদের কাছে নেতা নন, তিনি ছিলেন ন্যায়-নৈতিকতার আদর্শ ধারক। তিনি অন্যায়কে দূরে সরিয়ে রেখে সত্য ও ন্যায়ের হয়ে কাজ করে গেছেন।
১৯৭৮ সালে মুসা আল-সদর হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান। ইরানের বিপ্লব পরিকল্পনা বাধা হতে পারে বলে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে একথা জানান অনেকেই। আজ ৫০ বছর পর তার সম্ভাব্য মরদেহ সনাক্ত করার জন্য মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাস উঠে আসে। তার মরদেহের একটি সম্ভাব্য ছবি পরীক্ষা করে দেখেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাডফোর্ড কম্পিউটার বিজ্ঞানী হাসান উবাইল। উন্নত মানের প্রযুক্তি ব্যবহার করে জানা গেছে, মরদেহটি চেহারা সাথে মুসার আল-সদরের মিল রয়েছে। এ ঘটনায় অনেক ভাবে প্রশ্ন উঠে এসেছে- সত্যি কি তাকে মেরে ফেলা হয়েছে, নাকি এখনো বন্দী করে কোথাও রাখা হয়েছে।
লিবিয়ার রাজধানীর এক সাংবাদিক গোপন মর্গে গিয়ে ২০১১ সালে ছবিটি তোলেন। মরদেহটি অস্বাভাবিক লম্বা ছিল, মুসা আল-সদরও ছিলেন বেশ লম্বা। তাঁর উচ্চতা ছিল ৬ ফুট ৫ ইঞ্চি। তিনি মনে করেন এই মরদেহটি হতে পারে ১৯৭৮ সালের নিখোঁজ হওয়া ধর্মীয় শিয়া মুসা আল সদরের। সাংবাদিক জানান মুসা আল-সাদরের সত্যি ঘটনা অনুসন্ধান করতে গিয়ে এতটাই স্পর্শকাতর ছিল যে, আমি এবং বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের একটি দল অনুসন্ধান করতে গিয়ে কয়েক দিন লিবিয়ায় আটকে পড়ি।
লেবাননের অবহেলিত মুসলিমদের পক্ষে শিয়া মুসা আল-সাদর ছিলেন সোচ্চার কণ্ঠস্বর।ভক্তদের কাছে মুসা ছিলেন অত্যন্ত শ্রদ্ধার পাত্র। ধর্মীয় ও রাজনৈতিক অঙ্গনে তাঁর প্রভাব ছিল সমান ভাবে দৃঢ়। তাঁর অনুসারীরা তাঁকে ‘ইমাম’ উপাধিতেভূষিত করেন—এক সম্মান যা সচরাচর জীবিত কাউকে দেওয়া হয় না।
তবে এই ঘটনার রহস্য এখনো শেষ হয়নি। ধর্মীয় শিয়া মুসা সদরের ভক্তরা কেউ কেউ মনে করেন তাকে হত্যা করা হয়েছে, আবার কেউ কেউ বলেন তিনি এখনো বেঁচে আছেন।
চীন-বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে ‘রেডিয়েন্ট স্টারস’ প্রদর্শনী উদ্বোধন
ভক্তদের এ রহস্যকে এতটাই বড় মনে করেন যতটা বড় ছিল , জন এফ কেনডির হত্যাকাণ্ড।এই হত্যাকাণ্ড ততটাই রহস্যজনক। ঘটনা অনুসন্ধান করতে গিয়ে একটি দলকে লিবিয়ার আটক এর মুখোমুখি হতে হয়েছিল।
লেবাননের আলম পার্টি আজও মনে করেন মুসা আল সদরের এখনো বেঁচে আছেন। তারা এও মনে করেন হয়তো একদিন তিনি তাদের মাঝে ফিরে আসবেন। তার নিখোঁজ হওয়ার বার্ষিকীতে মুসা আল সদরকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য দাবি জানানো হয়।