বৃহস্পতিবার- ১৬ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শাহবাজ ও মুনিরের হোয়াইট হাউস সফর: ট্রাম্পের প্রশংসা ও আন্তর্জাতিক কূটনীতি

pakistan-us-relations-white-house-meeting
ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল অসিম মুনির বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বছরের গ্রীষ্মে মুনিরকে মধ্যাহ্নভোজের জন্য হোয়াইট হাউসে আতিথ্য দেওয়ার পর এটি তাদের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষাৎ। বৈঠকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওও উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকের আগে ট্রাম্প পাকিস্তানের এই দুই নেতাকে “মহান নেতা” হিসেবে প্রশংসা করেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেন, “ফিল্ড মার্শাল একজন খুবই মহান ব্যক্তি এবং প্রধানমন্ত্রীও তাই। তারা আমাদের সঙ্গে এই মুহূর্তে এই কক্ষে উপস্থিত।”

হোয়াইট হাউসের প্রেস পুল অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী শরিফ বিকেল ৪টা ৫২ মিনিটে হোয়াইট হাউসে পৌঁছান। খবর অনুযায়ী, ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করার জন্য দুই নেতা প্রায় আধ ঘণ্টা অপেক্ষা করেছিলেন।

ঐতিহাসিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে কৌশলগত নিরাপত্তা অংশীদার হিসেবে দেখলেও আফগানিস্তানের সোভিয়েত দখলদারিত্ব এবং সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে এই সম্পর্ক সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দুর্বল হয়ে পড়েছিল। ওসামা বিন লাদেনকে পাকিস্তানে খুঁজে পাওয়ার পর সম্পর্ক আরও খারাপ হয়।

২০১৮ সালে ট্রাম্প নিজেও পাকিস্তানকে অমূল্য আর্থিক সহায়তা দেওয়ার পর অভিযোগ করেছিলেন যে দেশটি সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দিচ্ছে। তবে বর্তমানে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে পাকিস্তান নতুন প্রস্তাব নিয়ে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান বাণিজ্য চুক্তির ফলে মার্কিন বাজারে পাকিস্তানি আমদানিতে ১৯ শতাংশ শুল্ক ধার্য হবে। এছাড়াও পাকিস্তান তার গুরুত্বপূর্ণ খনিজ ও বিরল মৃত্তিকা উপাদান যুক্তরাষ্ট্রে সরবরাহ করবে। একটি মার্কিন সংস্থা পাকিস্তানি খনিজে ৫০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে

২০২৪ সালে দুই দেশের মধ্যে পণ্য ও পরিষেবা বাণিজ্যের মোট পরিমাণ ছিল আনুমানিক ১০.১ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২৩ সালের তুলনায় ৬.৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

সম্প্রতি ভারত-পাকিস্তান সামরিক সংঘাত নিরসনে ট্রাম্পের হস্তক্ষেপও সম্পর্কের উষ্ণতার একটি কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে। পাকিস্তান এই যুদ্ধবিরতির জন্য ট্রাম্পকে কৃতিত্ব দিয়ে তাকে ২০২৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছে। বিশেষত মে মাসে সামরিক সংঘাতের পর মুনিরকে ওয়াশিংটনে তিনবার আতিথ্য দেওয়া হয়েছে, যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গুরুত্ব পুনরায় তুলে ধরে।

আরও পড়ুন

সম্পর্কিত আরো খবর

জনপ্রিয়