
ভিয়েতনাম ৮০ বছরের স্বাধীনতা ঘোষণার পূর্তি উপলক্ষে সর্ববৃহৎ জনসভার আয়োজন করেছে। ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে মঙ্গলবার সকালে প্রায় ৪০ হাজার সেনাসদস্য ও বেসামরিক নাগরিক এ আয়োজনে অংশ নেন। এক ব্যতিক্রমী কুচকাওয়াজের মাধ্যমে স্বাধীনতার ৮০ বছর পূর্তি উদযাপন করা হয়।
১৯৪৫ সালের এই দিনেই কমিউনিস্ট নেতা হো চি মিন ফরাসি ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান ঘটিয়ে ‘গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র ভিয়েতনাম’ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন। প্রায় ৮ দশক আগে হো চি মিনের ঐতিহাসিক ঘোষণা যে দিন ভিয়েতনামকে মুক্তির পথে নিয়ে গিয়েছিলেন, সেই স্মরণীয় দিনটিকে উদযাপন করতে মঙ্গলবার ভোরে হ্যানয়ের রাজপথে নামে লাখো মানুষ।
সকালের প্রচণ্ড রোদ থাকার পরেও লাখ লাখ মানুষের ভিড়ের ওপর দিয়ে হেলিকপ্টার ও বিমান উড়ে যায়। স্বাধীনতার ৮০ বছর পূর্তি উদযাপন করার জন্য।
চীন-বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে ‘রেডিয়েন্ট স্টারস’ প্রদর্শনী উদ্বোধন
হ্যানয়ের সকালটা ছিল আবেগঘন। ৭৮ বছর বয়সী প্রবীণ সৈনিক ফাম থান ভ্যান, যিনি ভিয়েতনাম যুদ্ধে আমেরিকানদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছিলেন, নিজের পদকজড়ানো সামরিক পোশাক পরে গভীর শ্রদ্ধায় তাকিয়ে ছিলেন হো চি মিনের সমাধির দিকে— যেন অতীতের সঙ্গে বর্তমানের এক অবিনশ্বর সংযোগ। সামনের সারিতে বসা বৃদ্ধ মানুষ গুলোর চোখে ছিল ইতিহাসের ছাপ।
এটি হবে আমার শেষ স্মৃতি। আমাদের ভুলে যেও না।’ ফরাসি সংবাদ সংস্থা এএফপিকে এ কথা বলেন।
ফাম থান ভ্যানের কথায়, দেশের স্বাধীনতা অর্জন আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। সংগ্রাম আজ দেশের জন্য উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি বয়ে এনেছে। এই জন্য যে লড়াই আমরা করেছি, সেটি ছিল সম্পূর্ণ মূল্যবান।
আমাদের জাতি বহু বাধা ,প্রতিকূলতা পেরিয়ে আজ এখানে এসেছে। আমরা একটি উপনিবেশ থেকে স্বাধীন ও ঐক্যবদ্ধ জাতিতে পরিণত হয়েছি এবং আধুনিকতার সাথে গভীর একীকরণের পথে এগিয়ে চলেছি,” এ কথা বলেন ফাম থান ভ্যান। প্রায় দুই ঘণ্টার শোভাযাত্রায় ভিয়েতনামি সৈন্যদের সঙ্গে চীনা ও রুশ সৈন্যরাও অংশগ্রহণ করেন।
৩৪ বছর বয়সী ট্রান নগুয়েন ট্রুং চিয়েন তার আবেগ ব্যক্ত করে বলেন,অনুষ্ঠান ভিয়েতনামের শক্তি ও ঐক্যের বহিঃপ্রকাশ। জনগণ সবাইকে আন্তরিকভাবে অভ্যর্থনা জানাচ্ছে, যা দেশের উচ্চ দেশপ্রেমকে প্রকাশ করে।”