
খেজুর শুধু সুস্বাদু নয়, এটি পুষ্টিগুণেও ভরপুর। এটি ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং বিভিন্ন খনিজ উপাদানে সমৃদ্ধ। প্রতিদিন মাত্র দুটি খেজুর খাওয়ার মাধ্যমে শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করা সম্ভব। এটি শুধু হজম শক্তি বাড়ায় না, বরং হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, রক্তস্বল্পতা এবং হাড়ের সমস্যার ঝুঁকিও কমায়।
১. হজমের সমস্যা দূর করে: খেজুরে উচ্চমাত্রার দ্রবণীয় ফাইবার থাকে, যা হজমপ্রক্রিয়া উন্নত করতে সাহায্য করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য কমিয়ে পরিপাকতন্ত্র সুস্থ রাখে।
২. ত্বককে সতেজ রাখে :প্রাকৃতিক ফাইটোহরমোন থাকার কারণে খেজুর ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। এটি বলিরেখা কমিয়ে ত্বকের নমনীয়তা বজায় রাখে।
৩. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: খেজুরে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড নামক শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোষের ক্ষতি রোধ করে এবং ডায়াবেটিস, আলঝেইমার ও ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।
৪. হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে: গবেষণায় দেখা গেছে, খেজুর খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে এবং হার্টের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান এলডিএল (ক্ষতিকর) কোলেস্টেরলের অক্সিডেশন রোধ করে।
৫. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যারা প্রতিদিন তিনটি খেজুর খান, তাদের কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস পায় এবং এইচডিএল (ভালো) কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পায়। এটি টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী হতে পারে।
৬. রক্তস্বল্পতা দূর করে: খেজুর আয়রনের ভালো উৎস, যা রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়িয়ে রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করে।
৭. হাড় শক্তিশালী করে: খেজুরে ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ও সেলেনিয়াম রয়েছে, যা হাড় মজবুত করে এবং অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধে সাহায্য করে।
৮. মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়: পটাসিয়াম সমৃদ্ধ হওয়ায় খেজুর স্মৃতিশক্তি বাড়াতে এবং মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে। এটি স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমাতে পারে।
৯. শক্তি বৃদ্ধি করে: প্রাকৃতিক শর্করা, যেমন গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ থাকায় খেজুর তাৎক্ষণিক শক্তি যোগায়। ব্যায়ামের আগে খেজুর খেলে কর্মক্ষমতা বাড়ে।
১০. মানসিক চাপ ও ক্লান্তি দূর করে: খেজুরে থাকা ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন বি গ্রুপ মানসিক চাপ ও ক্লান্তি কমাতে কার্যকর। এটি স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত করে।