
হাসি শুধুই মজার বিষয় নয়; এটি একটি শক্তিশালী থেরাপি। হাসির ফলে শরীরে এন্ডোরফিন নিঃসৃত হয়, রক্ত সঞ্চালন উন্নত হয় এবং পেশি শিথিল হয়। দৈনন্দিন জীবনে কমেডি শো দেখা বা বন্ধুদের সঙ্গে রসিকতা করা হাসি থেরাপির কার্যকর উপায়।
গবেষণায় দেখা গেছে, হাসি শুধু মনকে হালকা রাখে না, বরং শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। যুক্তরাষ্ট্রের কানসাস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় দেখা গেছে, জোরে হাসলে মানসিক চাপ কমে, কারণ এটি শরীরে কর্টিসলের মাত্রা হ্রাস করে। একই সঙ্গে হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণে আসে এবং রক্তচাপও কমে।
হাসি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে, যা শরীরকে অসুস্থতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। এছাড়া হাসির সময় নিঃসৃত এন্ডোরফিন প্রাকৃতিক ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে। শারীরিকভাবে, হাসি রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে, পেশি শিথিল করে এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগে ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী।
সোয়েডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় দেখা গেছে, কাউকে হাসতে দেখলেই পর্যবেক্ষকের মস্তিষ্কের মিরর নিউরন সক্রিয় হয়, যার ফলে হাসি সংক্রমিত হয় এবং সামাজিক সংযোগ বৃদ্ধি পায়। দৈনন্দিন জীবনে কমেডি শো দেখা বা বন্ধুদের সঙ্গে রসিকতা করাও হাসি থেরাপির কার্যকর উপায়।





















