বাংলাদেশে মাতৃদুগ্ধ বিকল্প খাদ্য নিয়ন্ত্রণ আইন থাকলেও বাজারে নিয়ম না মেনে বিকল্প শিশুখাদ্য প্রচার হচ্ছে, যা শিশুদের পুষ্টি ও স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, শিশুর জন্মের প্রথম ছয় মাসে শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধই যথেষ্ট। এরপর পরিপূরক খাদ্য যুক্ত করলেও দুই বছর বয়স পর্যন্ত মাতৃদুগ্ধ চালু রাখা উচিত। মায়ের দুধে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবডি, ভিটামিন, মিনারেল ও হরমোন রয়েছে, যা শারীরিক ও মানসিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ।
তবে নগর জীবনের ব্যস্ততা ও সচেতনতার অভাবে অনেক মা নিয়মিত বুকের দুধ দিতে পারছেন না। ফলে বিকল্প শিশুখাদ্যের ব্যবহার বেড়েছে, যা শিশুদের অপুষ্টি, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস এবং বারবার অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। বিশেষ করে গুঁড়ো দুধের বিজ্ঞাপন শিশুকে মায়ের দুধের সমতুল্য হিসাবে উপস্থাপন করে, যা বিভ্রান্তিকর।
চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদরা সতর্ক করেছেন, মাতৃদুগ্ধই শিশুর জন্য প্রথম ও শ্রেষ্ঠ পুষ্টি। বাজারে বিকল্প শিশুখাদ্য থাকলেও সচেতনতা ও আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে শিশুর সঠিক পুষ্টি নিশ্চিত করা সম্ভব।