মঙ্গলবার- ২রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

মেয়াদোত্তীর্ণ যেসব খাবারে অসুস্থতার ঝুঁকি, জানালেন বিশেষজ্ঞরা।

meyadottirno-khabar-jhuki + expired-food-health-risk
ছবি সংগৃহিত

খাবারের মেয়াদ পেরিয়ে গেলে তা আর ব্যবহার করা নিরাপদ নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুধ, পনির, কন্ডিমেন্ট কিংবা ফলের রসের মতো খাবার মেয়াদ ফুরিয়ে গেলে স্বাদ-ঘ্রাণ ভালো থাকলেও সেগুলোতে জীবাণু জন্মাতে পারে, যা স্বাস্থ্যের ঝুঁকি তৈরি করে।

প্রতিটি খাদ্যপণ্যেরই নির্দিষ্ট একটি মেয়াদ থাকে। সেই সময় পার হয়ে গেলে আর কোনোভাবেই খাবারটি ব্যবহার করা উচিত নয় বলে জানিয়েছেন খাদ্যনিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, অনেক সময় খাবারের ঘ্রাণ ও স্বাদ ঠিক থাকলেও মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পর তা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

যেসব খাবার মেয়াদ ফুরোলেই ফেলে দিতে হবে

ফলের রস: সহজেই নষ্ট হয়ে যায়। প্যাকেট বা বোতলে লেখা তারিখের পর তা নিরাপদ থাকে না।

কন্ডিমেন্টস: সস, কেচাপ, মেয়োনেজ, কাসুন্দি বা কিমচির মতো উপকরণে ভিন্ন ভিন্ন মেয়াদ নির্ধারিত থাকে। সময়সীমা পেরোলেই আর ব্যবহার করা যাবে না।

প্যাকেটজাত দুধ: ফ্রিজে রাখলেও সর্বোচ্চ সাত দিন ভালো থাকে। এরপর জীবাণু জন্মাতে পারে।

নরম পনির: এক থেকে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকে। নির্ধারিত সময় পার হলে ঝুঁকিপূর্ণ।

বেকিং পণ্য: কেক মিক্স, বেকিং পাউডার, ইস্ট, জ্যাম বা জেলি মেয়াদ পেরিয়ে গেলে কার্যকারিতা হারায়।

খাদ্যপণ্যের মোড়ক বা বোতলে সাধারণত ‘এক্সপায়ারি ডেট’, ‘বেস্ট বিফোর’ বা ‘ডু নট ইউজ আফটার’ উল্লেখ থাকে। এর মধ্যে ‘এক্সপায়ারি ডেট’ বা ‘ডু নট ইউজ আফটার’ পেরিয়ে গেলে খাবার কোনো অবস্থাতেই খাওয়া যাবে না। এ তারিখ সরাসরি খাদ্যনিরাপত্তার সঙ্গে সম্পর্কিত। অন্যদিকে, ‘বেস্ট বিফোর’ তারিখের ভেতরে খাবারটি সর্বোত্তম মান বজায় রাখে। তবে সেই সময়সীমা পার হলে খাবার অনিরাপদ না হলেও মানের ঘাটতি দেখা দিতে পারে, বিশেষত শুকনা বা ফ্রোজেন খাবারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাদ্যের মান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য অবিলম্বে ফেলে দিতে হবে। ঘ্রাণ বা স্বাদ ঠিক থাকলেও তা স্বাস্থ্যের ক্ষতির কারণ হতে পারে।

আরও পড়ুন

সম্পর্কিত আরো খবর

জনপ্রিয়