
বর্তমানে আবহাওয়ার পরিবর্তনের সাথে সাথে হঠাৎ জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। চিকিৎসকরা বলছেন, সংক্রমণই জ্বরের সবচেয়ে সাধারণ কারণ, তবে অন্যান্য শারীরিক সমস্যাও শরীরের তাপমাত্রা বাড়াতে ভূমিকা রাখে।
চিকিৎসকদের মতে, শরীরে জীবাণু প্রবেশ করলে প্রতিরোধ ব্যবস্থা তা ধ্বংস করতে তাপমাত্রা বাড়িয়ে তোলে। এসময় দুর্বলতা, মাথাব্যথা, বমিভাব ও অস্বস্তি দেখা দিতে পারে।
শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে ঠান্ডা লাগলে হালকা গরম পানিতে গোসল আরাম দিতে পারে। তবে জ্বরের সময় ভারী কম্বল ব্যবহার বা স্তরে স্তরে পোশাক না পরে ঢিলেঢালা হালকা পোশাক পরার পরামর্শ দেওয়া হয়।
আবহাওয়ার তারতম্যে হঠাৎ জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসজনিত সংক্রমণই জ্বরের সবচেয়ে সাধারণ কারণ। তবে অটোইমিউন সমস্যা, প্রদাহ ও ক্যান্সারের কারণেও শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
জ্বর হলে বিশ্রাম নেওয়ার পাশাপাশি শরীর আর্দ্র রাখা জরুরি। ঘাম, বমি বা ডায়রিয়ার কারণে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি বাড়ে। তাই প্রচুর পানি, ফলের জুস, ঝোল বা ডিক্যাফিনেটেড চা পান করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। মুরগি ও গরুর মাংসের ঝোল লবণ ও প্রোটিনে সমৃদ্ধ হওয়ায় শরীরে ইলেক্ট্রোলাইট ও পুষ্টি সরবরাহে সহায়ক।
ফলমূল, শাকসবজি, তরল খাবারের সঙ্গে ভেষজ উপাদান যেমন আদা ও রসুন রাখার সুপারিশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এ ছাড়া ক্ষুধামন্দা হলেও জ্বরের সময় খাবার খাওয়া জরুরি। তাদের মতে, আদা প্রদাহ কমায় এবং রসুনের অ্যান্টি-ভাইরাল গুণ শরীরকে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করে।