Search
Close this search box.

বুধবার- ১২ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

এক-এগারোর সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী বিএনপি: মির্জা আব্বাস

এক-এগারোর পরিণতি বিএনপির
ছবিঃ সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, এক-এগারোর সময় সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হয়েছে বিএনপি। দলের নেতাকর্মীরা তখন চরম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, এমনকি দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও রেহাই পাননি। তিনি বলেন, “আজকে অনেকে স্বাধীনভাবে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছে, অথচ সেই সময় বিএনপিকে চরম দুর্দশার মধ্যে ফেলা হয়েছিল।

শুক্রবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। এটি দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর দশম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছিল।

মির্জা আব্বাস বলেন, এক-এগারো আমাদের জন্য এক দুঃসহ অভিজ্ঞতা। খালেদা জিয়া থেকে শুরু করে দলের শীর্ষ নেতা-কর্মীরা তখন নিপীড়নের শিকার হয়েছিলেন। এমনকি কোকোকেও অসুস্থ অবস্থায় দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়েছিল, যার পরিণতিতে তিনি লাশ হয়ে দেশে ফিরেছিলেন।

তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে শহীদ জিয়া ও তার পরিবারের অবদান অনস্বীকার্য। খালেদা জিয়া তার স্বামী হারিয়েছেন, সন্তান হারিয়েছেন। বিনা দোষে তাকে সাত বছর কারাবরণ করতে হয়েছে। কিন্তু আজকে অনেকে তার অবদানকে অবজ্ঞা করছে, যা শুধু জিয়া পরিবার নয়, বরং দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার জন্যও অবমাননাকর।

আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে স্লো পয়জনিংয়ের মাধ্যমে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। এভাবে তাকে দুর্বল করে দেওয়া মানে গণতন্ত্রকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাওয়া। তিনি আরও বলেন, আমার নিজের ১১ বছর জেল হয়েছে, আমার স্ত্রীর ১৬ বছর, আমার ছোট ভাইয়ের ৮ বছর কারাদণ্ড হয়েছে। বিএনপির প্রায় প্রতিটি নেতাকর্মীই কোনো না কোনোভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। অথচ আজ বিএনপিকে নিয়ে নানা ধরনের অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, কিছু ব্যক্তি আজ বিদেশে বসে নতুন দল গঠনের চেষ্টা করছে এবং বিএনপির বিরুদ্ধে কথা বলছে। তারা দেশের রাজনীতিতে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। যারা এগুলো বলছেন, তারা জাতির শত্রু। গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি জনগণের সমর্থন। তাই নতুন দল গঠন করে সফল হতে হলে জনগণের চাহিদা বুঝতে হবে।

তিনি আরও বলেন, একটি দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। বিএনপির বিরুদ্ধে অহেতুক মন্তব্য করাই তাদের মূল লক্ষ্য। কিন্তু ইতিহাস বলে, বিএনপি সব সময় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকেই স্বাগত জানিয়েছে।

মির্জা আব্বাস বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে যত ষড়যন্ত্রই হোক, বিএনপি জনগণের দল, জনগণের পাশে থাকবে। যারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে চায়, তাদের মুখোশ জনগণের সামনে উন্মোচন করব।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী সপু, সহস্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, সহপ্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, সহ-যুববিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী, কেন্দ্রীয় সদস্য শামসুজ্জামান মেহেদী, মাহবুব আলম, মসিউর রহমান বিপ্লব, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজীব এহসান এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

আরও পড়ুন

সম্পর্কিত আরো খবর

জনপ্রিয়