Search
Close this search box.

বুধবার- ১২ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার প্রস্তুতি চলছে, বিএনপিতে নতুন আশার সঞ্চার

খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার প্রস্তুতি, বিএনপিতে নতুন আশার সঞ্চার
লন্ডনের একটি হাসপাতাল থেকে খালেদা জিয়াকে গাড়ি চালিয়ে বাসায় নিয়ে যাচ্ছেন তারেক রহমান।

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া শিগগিরই দেশে ফিরতে পারেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে তিনি লন্ডনে ছেলে তারেক রহমানের বাসায় অবস্থান করছেন। রাজনৈতিক অঙ্গনে এ নিয়ে নানা গুঞ্জন চলমান।

বেগম জিয়ার চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার লিভার প্রতিস্থাপন আপাতত সম্ভব নয়। তবে কিডনি ও লিভারজনিত সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে। চিকিৎসা শেষে তিনি এখন স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছেন।

বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, লন্ডনে তার দেশে ফেরার বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা চলছে। চিকিৎসা সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলেই তিনি বাংলাদেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। সূত্র মতে, কাতারের আমিরের দেওয়া বিশেষ অ্যাম্বুলেন্সেই তার দেশে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে।

বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে খালেদা জিয়ার প্রত্যাবর্তনকে দলীয় ঐক্যের প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিএনপির এক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, বর্তমান সরকারবিরোধী আন্দোলনে বিভক্তি থাকলেও খালেদা জিয়ার উপস্থিতি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, ‘লন্ডন ক্লিনিক তাকে ছাড়পত্র দিয়েছে এবং তিনি এখন বাসায় চিকিৎসাধীন। জন প্যাট্টিক কেনেডি ও জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছে।’ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এখন থেকে নিয়মিত ফলোআপের মাধ্যমে তার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে।

বিএনপির নির্ভরযোগ্য সূত্র মতে, আগামী এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যেই খালেদা জিয়া দেশে ফেরার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। লন্ডন থেকে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

বিশ্লেষকদের মতে, খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা বিএনপির রাজনীতিতে নতুন গতি সঞ্চার করতে পারে। তার অনুপস্থিতিতে দলের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতিতে কিছু মতানৈক্য দেখা গেলেও তার উপস্থিতি বিএনপিকে আরও সুসংগঠিত করতে পারে।

বেগম খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার সম্ভাবনা রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। তার অনুপস্থিতিতে বিএনপির আন্দোলন নানা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হলেও, দেশে ফেরার মাধ্যমে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি হতে পারে।

আরও পড়ুন

সম্পর্কিত আরো খবর

জনপ্রিয়