গাজীপুরের টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় চারজন নিহত এবং শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। মাওলানা সাদপন্থী ও জুবায়েরপন্থীদের মধ্যে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় ইজতেমা মাঠের দখল নিয়ে।
নিহতদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন: ১. আমিনুল হক বাচ্চু (৭০) – কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার বাসিন্দা। ২. বেলাল হোসেন (৬০) – ঢাকার ভাটারা থানার বেরাইদ এলাকার বাসিন্দা। ৩. তাজুল ইসলাম (৭০) – বগুড়ার বাসিন্দা।
মঙ্গলবার রাত সোয়া ৩টা নাগাদ সংঘর্ষ শুরু হয়। সাদপন্থীরা তুরাগ নদ পেরিয়ে ইজতেমা মাঠে প্রবেশ করতে চাইলে জুবায়েরপন্থীরা বাধা দেয়। দু’পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং পাল্টা আক্রমণ শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি বলেন, যদি দুই পক্ষ আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে পৌঁছায়, তাহলে সাদপন্থীরা ইজতেমায় অংশ নিতে পারবে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশ ইজতেমা মাঠ এবং আশপাশের তিন কিলোমিটারের মধ্যে সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মাঠ খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সংঘর্ষের আহতদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে, সেখানে দুই পক্ষের অনুসারীদের মধ্যে আবার সংঘর্ষ ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়।
স্থানীয়দের মতে, সংঘর্ষের সময় বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি শান্ত করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
আহতদের মধ্যে কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে: খোরশেদ আলম (৫০), আনোয়ার (৫০), আবু বক্কর (৫৯), আরিফুল ইসলাম (৫০), সাহেদ (৪৪)
টঙ্গী ইজতেমা, সংঘর্ষে নিহত, তাবলিগ জামাত, ইজতেমা সংঘর্ষ, গাজীপুর খবর, বাংলাদেশ নিউজ