বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত অক্টোবর মাসে দেশে সড়ক, রেল এবং নৌ-পথে মোট ৫৩৪টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছেন ৫৭৫ জন এবং আহত হয়েছেন ৮৭৫ জন। সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, যেখানে ৪৫২টি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪৭৫ জন এবং আহত হয়েছেন ৮১৫ জন।
গত মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৩৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় পড়ে, যার মধ্যে ১৬৩ জন নিহত এবং ২৩৯ জন আহত হন। এছাড়া রেলপথে ৬৩টি দুর্ঘটনায় ৭৬ জন প্রাণ হারান এবং ২৪ জন আহত হন। নৌ-পথেও ১৯টি দুর্ঘটনা ঘটে, যাতে নিহত হয়েছেন ২৪ জন, আহত ৩৬ জন এবং ৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
প্রতিবেদনে সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে: ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন: সড়কে ট্রাফিক পুলিশের অভাব এবং অবাধ যানবাহন চলাচল। সড়কের অবস্থা: মহাসড়কে গর্ত ও ত্রুটিপূর্ণ নির্মাণকাজ। নতুন চালকদের অভিজ্ঞতার অভাব এবং ফিটনেসবিহীন যানবাহনের চলাচল। অতিরিক্ত যাত্রী বহন: যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ এবং চালকদের দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করা।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি দুর্ঘটনা কমানোর জন্য বেশ কয়েকটি সুপারিশ করেছে: ছোট যানবাহন আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা। মহাসড়কে আলোকসজ্জার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। চালকদের প্রশিক্ষণ ও যানবাহনের ফিটনেস পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা। ধীরগতির যানবাহনের জন্য আলাদা লেন তৈরি করা। ট্রাফিক আইন ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রয়োগ করা। সড়কের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ এবং আধুনিক বাস নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা।
এই প্রতিবেদনটি জাতীয় ও আঞ্চলিক সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল এবং নৌ-পথের দুর্ঘটনা নিয়ে বিশ্লেষণ করে তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।