বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সম্প্রতি এক বক্তব্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি জনগণের প্রত্যাশা এবং প্রয়োজনীয় সংস্কারের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এই সরকার যদি জনগণের আস্থা ধরে রাখতে চায়, তবে তাদের অবশ্যই আওয়ামী লীগের শাসনামলের পুনরাবৃত্তি এড়িয়ে চলতে হবে।
রিজভী উল্লেখ করেন, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনার আমলে নির্বাচন কোনো প্রয়োজনীয় বিষয় ছিল না। যারা নমিনেশন পেতেন, তারা সরাসরি জয়ী হতেন এবং নিজেদের স্বার্থে অপকর্ম করতেন।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলে লুটপাট, দখলবাজি এবং স্বজনপ্রীতি ছিল নিয়মিত চর্চা। যাদের মানবপাচারের মতো অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্টতা ছিল, তারাও এমপি হওয়ার সুযোগ পেয়েছে।
রিজভী আরও অভিযোগ করেন, বাংলাদেশের গুম ও খুনের পেছনে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশের ভূমিকা রয়েছে। তিনি বলেন, ভারত আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ মিত্র। এর ফলস্বরূপ, গুম-খুনের মতো অপরাধেও তাদের ভূমিকা থাকতে পারে।তিনি বলেন, “অন্যায় আদেশ মানতে অস্বীকৃতি জানানো এবং নিয়মতান্ত্রিক পথে কাজ করা প্রকৃত সংস্কারের প্রতীক।” তিনি ডিসি-এসপিদের প্রতি আহ্বান জানান, তারা যেন অন্যায় আদেশ অমান্য করে সঠিক পথে চলার প্রতিশ্রুতি দেন।
রিজভী বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জনগণের প্রতি আস্থা বজায় রাখতে হবে। বিদ্যুৎ খাতের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানান তিনি।