বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে কাজী নজরুল ইসলামকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে। ১৯৭২ সালের ২৪ মে তারিখে বাংলাদেশে আসার পর থেকেই তিনি জাতীয় কবি হিসেবে সমাদৃত। তবে এবার সরকারিভাবে গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে এই স্বীকৃতি নিশ্চিত করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আতাউর রহমান স্বাক্ষরিত গেজেট প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে উপদেষ্টা পরিষদের এক সভায় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবি হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছে।
১৯৭২ সালের ২৪ মে কাজী নজরুল ইসলামকে সপরিবারে কলকাতা থেকে ঢাকায় আনা হয়। ধানমন্ডির একটি বাসভবন তাকে প্রদান করা হয় স্থায়ী বসবাসের জন্য। এরপর ১৯৭৬ সালে তিনি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব লাভ করেন এবং তাকে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়।
১৯৭৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সম্মানসূচক ডি.লিট উপাধি প্রদান করে। তার সাহিত্যকর্ম এবং সংস্কৃতিতে অবদানের জন্য তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরে সর্বোচ্চ সম্মান লাভ করেন।
১৯২৯ সালে কলকাতায় এক সমাবর্তনে কাজী নজরুল ইসলামকে “জাতীয় কবি” হিসেবে সম্বোধন করা হয়। তবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে তার জাতীয় কবি হিসেবে স্বীকৃতি আরও গভীরভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। সরকার তার অবদানের প্রতি সম্মান জানিয়ে নজরুল ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করে।
১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট কাজী নজরুল ইসলাম শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার ইচ্ছানুসারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়। তার মৃত্যু উপলক্ষে বাংলাদেশে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছিল।
কবি কাজী নজরুল ইসলামের জীবনের প্রতিটি ধাপে তার জাতীয় কবি হওয়ার যোগ্যতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে তার স্বীকৃতি দেশের সংস্কৃতির প্রতি গভীর সম্মান প্রদর্শন করে।