লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমেদ আজ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে ২৩টি প্রস্তাব তুলে ধরেছেন। দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ এই প্রস্তাবগুলো দেওয়া হয়েছে। বৈঠকের পর অলি আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, প্রস্তাবগুলো দেশের জনগণের স্বার্থে তৈরি করা হয়েছে।
অলি আহমেদ তাঁর ২৩ দফার মধ্যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুনরুদ্ধার এবং সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তাঁর প্রস্তাবনায় উল্লেখযোগ্য কিছু পয়েন্ট হলো:
স্বচ্ছ নির্বাচন কমিশন: নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনকে পুনর্গঠন করতে হবে। নির্বাচন কমিশন এবং ইসি সচিবালয়ে কর্মরত কর্মকর্তাদের বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের সম্পৃক্ত করতে হবে।
সামরিক বাহিনীর ভূমিকা: নির্বাচনের সময় সামরিক বাহিনীর সহায়তা চেয়েছেন। নির্বাচনী এলাকার নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতা রক্ষায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করার প্রস্তাব দিয়েছেন।
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা: অবাধ তথ্য প্রবাহ এবং সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। এর মাধ্যমে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা এবং জনসাধারণের আস্থা অর্জন করা যাবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।
জাতীয় ঐক্য ও সমঝোতা: রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপের মাধ্যমে জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক সহযোগিতা: দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুনঃপ্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
অলি আহমেদের প্রস্তাবে মোট ২৩টি দফা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা দেশের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছে। প্রস্তাবগুলোতে সামরিক বাহিনীর সক্রিয় অংশগ্রহণ, নির্বাচন কমিশনের পুনর্গঠন, জনগণের নাগরিক অধিকার রক্ষা এবং জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার গঠনের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।