আগামীকাল থেকে শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের চতুর্থ অর্থনৈতিক শুমারির তথ্য সংগ্রহ। ১৫ দিনব্যাপী এই কার্যক্রম চলবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। সারাদেশে ৯৫ হাজার তথ্য সংগ্রহকারী এই শুমারির কাজে অংশগ্রহণ করবেন। এর মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত ও হালনাগাদ তথ্য পাওয়া যাবে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রতি ১০ বছর পর অর্থনৈতিক শুমারি পরিচালনা করে। এবারের শুমারি সফলভাবে সম্পন্ন করতে সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যে শেষ করা হয়েছে। আজ (৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিবিএস সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানানো হয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, বিবিএসের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান, এবং অর্থনৈতিক শুমারি প্রকল্পের পরিচালক এস এম শাকিল আখতার।
এবারের শুমারিতে প্রথমবারের মতো ট্যাবলেট এবং ক্যাপি পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে। জিওগ্রাফিক্স ইনফরমেশন সিস্টেম (জিআইএস) এবং জিওকোডের মাধ্যমে ডিজিটাল ম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। শুমারির তথ্য সংগ্রহের ট্যাবগুলো মোবাইল ডিভাইস ম্যানেজমেন্ট (এমডিএম) সফটওয়্যার দিয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত হবে।
তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ডাটা সেন্টার কোম্পানি লিমিটেডের (বিডিসিসিএল) ডেটা সেন্টার ব্যবহার করা হবে। পরিসংখ্যান আইন ২০১৩ অনুযায়ী সকল ব্যক্তিগত তথ্য গোপন রাখা হবে।
শুমারির জন্য ৭০টি প্রশ্নের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। ১ কোটি ২২ লাখ ইউনিট ইতোমধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখান থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এই শুমারিতে প্রথমবারের মতো বিদেশি কর্মীদের সংখ্যা, তাদের পেশা এবং লিঙ্গভিত্তিক তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
তথ্য সংগ্রহের গুণগত মান নিশ্চিত করতে তিন ধাপে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্রথম ধাপ: মাস্টার ট্রেইনারদের প্রশিক্ষণ। দ্বিতীয় ধাপ: উপজেলা সমন্বয়কারী, জোনাল অফিসার ও আইটি সুপারভাইজারদের প্রশিক্ষণ। তৃতীয় ধাপ: তথ্য সংগ্রহকারী এবং সুপারভাইজারদের প্রশিক্ষণ।
বিবিএসের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান জানান, এই শুমারি থেকে দেশের অর্থনৈতিক কাঠামো এবং প্রবণতা সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে। এই তথ্য ভবিষ্যৎ উন্নয়ন পরিকল্পনা ও নীতি প্রণয়নে সহায়ক হবে