ইসকনের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড ও আগ্রাসী অবস্থান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, “ইসকন হঠাৎ উত্তপ্ত কেন? এই আচরণের পেছনে আসল উদ্দেশ্য কী? আমরা কি হাত গুটিয়ে বসে থাকব?
শনিবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, দেশের স্বার্ভৌমত্ব রক্ষায় আমাদের সজাগ থাকতে হবে। ভারতের সার্জিক্যাল অপারেশনের হুমকি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। আমাদের স্বাধীনতার ভিত্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত। কোনো বাহিনীর হুমকিতে আমরা ভয় পাই না।”
রিজভী আহমেদ দাবি করেন, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অনেক উন্নত। তিনি বলেন, অতীতে বিভিন্ন সরকার সাম্প্রদায়িক সংঘাত উসকে দেওয়ার চেষ্টা করলেও বর্তমানে তা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ইসকনের উগ্র আচরণ এই সম্প্রীতিকে আঘাত করতে পারে। ভারতের সাম্প্রতিক প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ পরিকল্পিতভাবে আমাদের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় বাধা সৃষ্টি করছে। আমরা কারও দাসত্ব স্বীকার করব না। আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম এই শিক্ষাই দেয়।
ভারত থেকে চিকিৎসা সেবা বন্ধের প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ চিকিৎসার জন্য কারও ওপর নির্ভরশীল নয়। আমাদের দেশেই যথেষ্ট দক্ষ ডাক্তার ও উন্নত সেবা রয়েছে। ভারতের এই হুমকি তাদের বিদ্বেষেরই প্রমাণ। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের স্যানিটেশন ব্যবস্থা অনেক উন্নত। চিকিৎসার জন্য ভারতের ওপর নির্ভরশীল থাকার দিন শেষ।
রিজভী আহমেদ বলেন, যখন অন্যায় রাষ্ট্রে প্রাধান্য পায়, তখন শিল্প-সংস্কৃতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ভারতের সাংস্কৃতিক আগ্রাসন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রিজভী বলেন, “আমাদের শিল্পীরা ভারতের সাংস্কৃতিক আগ্রাসন রোধে বড় ভূমিকা রাখবেন। আমরা সাংস্কৃতিক বিনিময় চাই, তবে তা সমমর্যাদার ভিত্তিতে। গণআন্দোলনে সৃষ্টিশীল কাজ নতুন মাত্রা যোগ করে। অনুষ্ঠানে ইথুন বাবুর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা রশিদুজ্জামান মিল্লাত, মীর শরাফত আলী সপু, এবং সাংস্কৃতিক সংগঠক শাম্মী আক্তার।