নারীদের সম্মান রক্ষা ও সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ইসলামের অন্যতম শিক্ষা বলে মন্তব্য করেছেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেন, ইসলামের মূল দর্শনই হলো মানবতার কল্যাণ এবং সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠা করা। নারীদের মর্যাদা ও অধিকার রক্ষার বিষয়টি ইসলামে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সিয়ামের শিক্ষা গ্রহণ করে আমাদের উচিত সত্য ও ন্যায়ের পথে চলা। কঠোর সিয়াম সাধনার মাধ্যমে আমরা মানবিক সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখতে পারি।
বাংলাদেশ মসজিদ মিশনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সিয়ামের চেতনায় সমাজ ও রাষ্ট্র ভাবনা" শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মসজিদ মিশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা যাইনুল আবেদীন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রফেসর ড. আ ক ম আব্দুল কাদের এবং কি-নোট স্পিকার হিসেবে বক্তব্য দেন প্রফেসর ড. নাকিব মোহাম্মদ নাসরুল্লাহ।
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন মাদরাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর নুরুল হক মিয়া, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন প্রফেসর আতাউল্লাহ, বাংলাদেশ মসজিদ মিশনের প্রধান উপদেষ্টা মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, মাওলানা আব্দুল হালিম, অধ্যক্ষ শাহজাহান মাদানী, অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, পীর মাওলানা শাহ আরিফ বিল্লাহ সিদ্দিকীসহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
প্রধান অতিথি বলেন, সিয়াম শুধু ব্যক্তিগত আত্মশুদ্ধির জন্য নয়, বরং সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনের অন্যতম মাধ্যম। রমজান মাসে আত্মসংযম ও পরিশুদ্ধির মাধ্যমে আমরা নিজেদের সংশোধন করতে পারি এবং ন্যায়পরায়ণতা অর্জন করতে পারি।
বিশেষ অতিথি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, সাওম আমাদের সত্যবাদী হতে শেখায়। দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনের জন্য আত্মসংযম ও নৈতিকতার চর্চা জরুরি।
সেমিনারের অন্যতম আলোচক মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, আল্লাহর নির্দেশনা অনুযায়ী সিয়াম পালন করলে মানুষ সত্যিকারের মুত্তাকি হতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক রেজিস্ট্রার জনাব নুরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, আদর্শ সমাজ গঠনের জন্য আত্মশুদ্ধি, আত্মসংযম এবং সঠিক নৈতিকতা অর্জন অপরিহার্য।
সভাপতির সমাপনী বক্তব্যে অধ্যক্ষ মাওলানা যাইনুল আবেদীন বলেন, এক মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার মাধ্যমে মানুষ আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারে। এ সাধনার প্রকৃত ফল তখনই আসে, যখন তা ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে প্রতিফলিত হয়। সিয়ামের শিক্ষা সমাজ সংস্কারের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।
অনুষ্ঠানের শেষে অতিথিবৃন্দ সিয়ামের শিক্ষাকে নিজেদের জীবনে ধারণ করার আহ্বান জানান এবং দোয়ার মাধ্যমে সেমিনারের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।