বাংলাদেশের নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি ১২০ দিন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এক আলোচনায় এ তথ্য জানান।
সরকার শ্রমিকদের অধিকার সংরক্ষণ ও আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ শ্রম ব্যবস্থা গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে শ্রম আইন সংশোধন করা হচ্ছে, যাতে আন্তর্জাতিক শ্রম মানদণ্ড অনুসরণ করা যায়।
৬ মার্চ রাজধানীর রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে বিভিন্ন দেশের দূতাবাস কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় শ্রম উপদেষ্টা এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সরকার শ্রম অধিকার সংস্কারের জন্য উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিশন গঠন করেছে, যা মার্চ ২০২৫-এর মধ্যে সুপারিশ জমা দেবে।
শ্রম আইন সংশোধনের অংশ হিসেবে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের প্রক্রিয়া সহজ করা হচ্ছে। শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্ব এবং সম্মিলিত দর কষাকষির সুযোগ আরও প্রসারিত করা হবে।
নারী শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে মাতৃত্বকালীন ছুটি ১২০ দিন করা হচ্ছে। এ ছুটি বৃদ্ধির মাধ্যমে নারী কর্মীদের সুরক্ষা আরও জোরদার হবে।
শ্রমিকদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাসমূহ পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে দ্রুত নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। শ্রম অধিকার সংক্রান্ত মামলার জট কমাতে ‘বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি’ ব্যবস্থা কার্যকর করা হবে।
আগামী ১০ থেকে ২০ মার্চ সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) ৩৫৩তম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে শ্রম অধিকার নিয়ে আলোচনা করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দূতাবাস প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
শ্রম আইন সংশোধনের মাধ্যমে শ্রমিকদের অধিকার সংরক্ষণ এবং আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি বৃদ্ধি শ্রমিকবান্ধব নীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।