বাংলাদেশে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। নির্বাচন কমিশন গঠনে অনুসন্ধান কমিটি চূড়ান্ত করা হয়েছে, যা ভবিষ্যতে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। যদিও নির্বাচন প্রক্রিয়া ও সকল দলের অংশগ্রহণের বিষয়ে এখনও সংশয় রয়েছে।
সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমরা প্রত্যাশা করি, সৎ ও সাহসী মানুষ দ্বারা নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে। যারা দায়িত্বশীলতার সাথে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে পারবেন।
এদিকে, প্রধান বিচারপতির সুপারিশে আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী অনুসন্ধান কমিটির প্রধান হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। কমিটির মাধ্যমে প্রস্তাবিত ব্যক্তিদের ভিত্তিতে প্রেসিডেন্ট নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন। তবে দেশের সব দলকে নির্বাচনে আনা ও প্রক্রিয়ার পরিবর্তনগুলো এখনও নিশ্চিত করা হয়নি।
নতুন কমিশনের সামনেই রয়েছে দেশের মানুষের ১৬ বছরের ভোট দিতে না পারার আক্ষেপ মেটানোর বিশাল দায়িত্ব। অতীতের বিতর্কিত নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি রোধে কমিশনের সংস্কার এবং রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে নতুন কমিশনকে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে।
প্রধান পরিবর্তনগুলো:
নির্বাচন কমিশনের কাজের ধারা পরিবর্তন এবং নির্বাচনী সংস্কারের জন্য একটি সুপারিশমালা প্রস্তাবিত হতে পারে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু পরিবর্তন হতে পারে, সব দলকে নির্বাচনে আনার উদ্যোগ, ভোট প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও অংশগ্রহণমূলকতা নিশ্চিত করা।
সুশাসন ও কমিশনের ভূমিকা:
নির্বাচন বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ২০০৯ সাল থেকে দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তা নতুন কমিশনের জন্য বড় একটি চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে, ২০১৪ সালের বিনা ভোটের নির্বাচন এবং ২০১৮ সালের বিতর্কিত রাতের ভোটের প্রেক্ষাপটে কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে দেশের সুশীল সমাজ ও রাজনৈতিক মহল।
ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার চ্যালেঞ্জ:
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রতিটি নির্বাচনে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। নতুন কমিশনের সামনে রয়েছে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের চ্যালেঞ্জ। এটি শুধু দেশের গণতন্ত্রকেই কার্যকর করবে না, বরং আন্তর্জাতিক পর্যায়েও বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উন্নত করবে।