বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বর্তমান সরকার নির্বাচন আয়োজন এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার নিয়ে কাজ করছে।
শফিকুল আলম ফরেন সার্ভিস একাডেমির এক অনুষ্ঠানে জানান, যদি সবকিছু সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়, তবে ২০২৬ সালের ৩০ জুনের আগেই নির্বাচন হতে পারে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মতে, ভোটার তালিকা হালনাগাদ এবং কিছু প্রয়োজনীয় সংস্কার করলে ২০২৫ সালের শেষের দিকে নির্বাচন সম্ভব। তবে, আরো ব্যাপক সংস্কার কার্যক্রমের জন্য অতিরিক্ত ছয় মাস সময় লাগতে পারে।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেসসচিব আবুল কালাম মজুমদার বলেন, নির্দিষ্ট তারিখ এবং মনোনয়ন প্রক্রিয়া নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। সরকারের কাজ হলো নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহায়তা করা এবং সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা। তিনি উল্লেখ করেন, তরুণদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য জাতীয় দাবির প্রতি সরকার আন্তরিক।
সরকার জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংস্কারের পরিকল্পনা করছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দাবি এবং আদালতের নির্দেশনার ভিত্তিতে নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু করার কাজ চলছে।
শিক্ষা খাতেও ব্যাপক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছেন শফিকুল আলম। তিনি বলেন, নবম ও দশম শ্রেণির টেক্সটবুক রেশনালাইজেশন করা হবে। এছাড়া, ইউনিভার্সিটি মঞ্জুরি কমিশনের নাম পরিবর্তন করে তা আরো আধুনিক করার পরিকল্পনা রয়েছে। টেকনিক্যাল ও ভোকেশনাল শিক্ষা যুগোপযোগী করার জন্যও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
বেসরকারি স্কুল ও কলেজের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া, স্কুল এবং কলেজ পর্যায়ে তথ্য-প্রযুক্তির মানোন্নয়নের কাজ চলছে।