পরিবেশ সুরক্ষা ছাড়া টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়, বলেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি জানান, বায়ুদূষণ, পানিদূষণ, শব্দদূষণ এবং মাটিদূষণের মতো সমস্যাগুলো নিরসন না করলে দেশের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কার্যকারিতা দীর্ঘমেয়াদে টিকবে না।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শুধু মেট্রোরেল, ফ্লাইওভার বা বড় অবকাঠামোগত উন্নয়নের পরিকল্পনা নিলেই হবে না, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা না গেলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ভয়াবহ সংকট তৈরি হবে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকার রাস্তায় হাঁটা, বসবাস বা শান্তভাবে চিন্তা করাও কঠিন হয়ে পড়েছে”। লাউডস্পিকারের উচ্চ শব্দ, নির্মাণকাজের ধুলাবালি, নদী ও খাদ্যে ভেজালের মাত্রা বেড়ে চলেছে। অথচ পরিবেশ সংরক্ষণ নিয়ে আমরা শুধু আলোচনা করি, কিন্তু কার্যকর পদক্ষেপ নেই না। এখনই পরিবেশ রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগ নেওয়া দরকার।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান, আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. কাজী মতিন উদ্দিন আহমেদ, সভাপতিত্ব করেন ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল ইসলাম।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগকে পলিথিন ও একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করায় ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, পরিবেশ রক্ষায় ব্যক্তিগতভাবে উদ্যোগ নিতে হবে। শুধু সরকার বা সংস্থার ওপর নির্ভর না করে প্রত্যেক নাগরিককেই দায়িত্ব নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, যারা এখানে পড়াশোনা করছেন, ভবিষ্যতে দায়িত্বশীল প্রশাসক, কর্পোরেট কর্মকর্তা বা নীতিনির্ধারক হয়ে পরিবেশ সংরক্ষণে ভূমিকা রাখবেন।
তিনি বলেন, আমরা এমন একটি ভবিষ্যৎ গড়তে চাই যেখানে পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন নিশ্চিত হবে। আপনারা কীভাবে পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও পরিবেশ অধিদপ্তরকে সহায়তা করতে পারেন, সে বিষয়ে কোনো পরামর্শ থাকলে জানান।
অনুষ্ঠানে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, পরিবেশবিদ এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।