Search
Close this search box.

সোমবার- ২৪শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে গঠিত হলো ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন’

প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে গঠিত হলো ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন’
মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা. ড. মুহাম্মদ ইউনূস

বাংলাদেশে সংস্কার প্রক্রিয়া ও জাতীয় ঐকমত্য গঠনের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন’ গঠন করা হয়েছে। এই কমিশনের নেতৃত্বে রয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কমিশনটি কার্যক্রম শুরু করবে।

বুধবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে কমিশন গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এতে বলা হয়, বিদ্যমান সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশ পর্যালোচনা ও বাস্তবায়নের জন্য ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন’ কাজ করবে।

কমিশনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। এছাড়া কমিশনের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরা হলেন:

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন: প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশন: প্রধান সফর রাজ হোসেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন: প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন: বিচারপতি এমদাদুল হক, দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন: প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান।

এই কমিশনের মূল লক্ষ্য হলো আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশগুলো মূল্যায়ন ও বাস্তবায়নের জন্য সুনির্দিষ্ট রূপরেখা তৈরি করা। বিশেষ করে নির্বাচন ব্যবস্থা, পুলিশ প্রশাসন, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, সংবিধান সংশোধন এবং দুর্নীতি দমনে প্রয়োজনীয় সংস্কারের জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের সাথে আলোচনা করবে।

কমিশন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এটি দেশের গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। তারা আশা প্রকাশ করেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতার মাধ্যমে একটি স্থিতিশীল ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির উন্নয়ন এবং ন্যায়সংগত প্রশাসনিক কাঠামো গঠনের জন্য জাতীয় ঐকমত্য একান্ত প্রয়োজন। আমরা সংলাপ ও আলোচনার মাধ্যমে একটি টেকসই সমাধানের দিকে এগিয়ে যেতে চাই।

এই কমিশনের কার্যক্রম কেবল আসন্ন নির্বাচন পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং ভবিষ্যতে টেকসই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দীর্ঘমেয়াদী সংস্কার কার্যক্রমেও ভূমিকা রাখবে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কার্যক্রম বাংলাদেশের প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সকল মহলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে এটি দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে আরও সুদৃঢ় করতে সহায়ক হবে।

আরও পড়ুন

সম্পর্কিত আরো খবর

জনপ্রিয়