
পবিত্র মাহে রমজানে দিনের বেলা হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখা ও সমাজ থেকে সব ধরনের অনৈতিক কার্যক্রম দূর করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, রমজান মাস সংযম, আত্মশুদ্ধি ও ইবাদতের সময়। তাই এ মাসের পবিত্রতা রক্ষায় সরকারসহ সকল নাগরিককে সচেতন হতে হবে।
জামায়াত আমির বলেন, এই মাস শুধু রোজা রাখার জন্য নয়, বরং ন্যায়বিচার, সহানুভূতি ও আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার সুযোগ। তাই দিনের বেলা হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখা এবং সমাজ থেকে অশ্লীলতা ও অনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধকে গুরুত্ব দিয়ে ব্যবসায়ীদেরও ন্যায্যমূল্য বজায় রাখতে হবে। যেন সাধারণ মানুষ ন্যায্যমূল্যে খাদ্যসামগ্রী কিনতে পারে এবং রমজান মাসে স্বস্তিতে সিয়াম পালন করতে পারে।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, রমজান এলেই কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়, যা সাধারণ মানুষের জন্য কষ্টদায়ক”। তিনি সরকারকে আহ্বান জানান, “অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে এবং বাজার ব্যবস্থাপনায় কঠোর নজরদারি রাখতে হবে, যাতে রোজাদাররা ন্যায্যমূল্যে ইফতার ও সেহরির সামগ্রী সংগ্রহ করতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, ভর্তুকি দিয়ে হলেও চাল, ডাল, তেল, মাছ, মাংস, তরি-তরকারি, চিনি, খেজুর, ছোলা, মুড়ি প্রভৃতি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে হবে।
বিবৃতিতে জামায়াত আমির আরও বলেন, দেশের জনগণ দীর্ঘদিনের স্বৈরাচারী শাসন থেকে মুক্ত হয়ে এখন নতুন সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। জনগণ তাদের মৌলিক অধিকার ও ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার অপেক্ষায় আছে।
তিনি দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধভাবে গণতন্ত্রবিরোধী অপশক্তির চক্রান্ত প্রতিহত করার আহ্বান জানান এবং বলেন, “দেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের স্বার্থে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত রাখতে হবে।”
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, রমজান মাসে আমাদের চিন্তা-চেতনায় ধর্মীয় মূল্যবোধ প্রতিফলিত হতে হবে। সমাজের প্রতিটি মানুষকে রমজানের শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, যারা ব্যবসায়ী, প্রশাসক বা নীতিনির্ধারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, তারা যেন জনগণের কল্যাণে কাজ করেন এবং ন্যায্যতা বজায় রাখেন।
জামায়াত আমির তার বিবৃতিতে দেশবাসীকে মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষা, দরিদ্রদের সহায়তা করা এবং নিজেদের জীবন শুদ্ধ করার আহ্বান জানান। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে বাজার নিয়ন্ত্রণ, সামাজিক শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং রোজাদারদের সুবিধা নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান।