বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের চেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি বলেছেন, যদি গোয়েন্দা সংস্থাগুলো নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নির্ধারণ করে দেয়, তবে গণতন্ত্র এবং আত্মত্যাগের কোনো মূল্য থাকবে না।
রুহুল কবির রিজভী বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক আলোচনা সভায় এসব মন্তব্য করেন। তিনি অভিযোগ করেন, সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করছে, যা দেশের গণতন্ত্রের জন্য হুমকিস্বরূপ।
আলোচনায় ভারত প্রসঙ্গেও কথা বলেন রিজভী। তিনি বলেন, “গণতান্ত্রিক দেশ হয়েও ভারত কীভাবে শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিতে পারে? ভারত পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং শেখ হাসিনার মাধ্যমে তাদের নীতিগুলো বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছে। কিন্তু শেখ হাসিনা যখন দেশ থেকে পালিয়ে যান, তখন ভারত ছাড়া কোনো দেশ তাকে স্বীকৃতি দেয়নি।”
বিএনপির এই নেতা আরও অভিযোগ করেন যে, বর্তমান সাইবার সুরক্ষা আইন ও আওয়ামী লীগের তৈরি আগের আইনের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। তিনি বলেন, “সরকার এই আইন ব্যবহার করে জনগণের কণ্ঠ রোধ করতে চায়।”
রিজভী বলেন, “সরকারি গুরুত্বপূর্ণ নথি চাওয়ার পরে সচিবালয়ে আগুন লাগার ঘটনা জনগণের মধ্যে প্রশ্ন তুলেছে। এটি কি পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে?” তিনি আরও বলেন, জনগণের মধ্যে সন্দেহ তৈরি হয়েছে যে, আওয়ামী লীগের ভেতরেই বিএনপিকে ভাঙার চক্রান্ত চলছে।
বিএনপির বিভিন্ন আন্দোলন এবং আত্মত্যাগের কথা উল্লেখ করে রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপিসহ অন্যান্য দলের আত্মত্যাগ অস্বীকার করা যাবে না। তিনি বলেন, “গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং কালো আইন বাতিলের জন্য বিএনপি সব সময় লড়াই করে যাবে।