বিশিষ্ট আইনবিদ ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেন দেশের সংবিধানকে সময়োপযোগী করার জন্য সংশ্লিষ্টদের উদ্যোগ নিতে পরামর্শ দিয়েছেন। শনিবার (২ নভেম্বর) রাজধানীর মতিঝিল কার্যালয়ে সংবিধান সংস্কার কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলে তিনি এ পরামর্শ দেন। কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি এই সাক্ষাৎকারে অংশ নেয়।
ড. কামাল হোসেন বাংলাদেশের ১৯৭২ সালের মূল সংবিধান প্রণয়নের অন্যতম প্রধান ব্যক্তি। তিনি গণপরিষদের সংবিধান খসড়া কমিটির প্রধান হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তাই সংবিধানের বিষয়গুলো নিয়ে তার মতামত বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত জনসংযোগ কর্মকর্তা মো: সাব্বির মাহমুদের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ড. কামাল হোসেন সংবিধান সংস্কার কমিশনকে দেশের প্রেক্ষাপটে সংবিধানকে আরও আধুনিক ও কার্যকর করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “সংবিধানকে সময়ের চাহিদার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি জাতির আইনি ভিত্তি ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার মূল উৎস।”
ড. কামাল হোসেন প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানিয়ে সংবিধান সংস্কার প্রক্রিয়ার প্রতি তার পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে কমিশন স্বচ্ছ ও সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করবে এবং জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রস্তাব করবে।
প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ড. কামালের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং সংবিধান সংস্কার বিষয়ে তার মতামত শোনেন। প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর সুমাইয়া খায়ের, ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক, অধ্যাপক মোহাম্মদ ইকরামুল হক, ড. শরীফ ভূঁইয়া, ব্যারিস্টার এম মঈন আলম ফিরোজী, ফিরোজ আহমেদ ও মো: মুস্তাইন বিল্লাহ।
কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, “আমরা ড. কামাল হোসেনের পরামর্শকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করব এবং তার অভিজ্ঞতা আমাদের সংস্কার প্রস্তাব তৈরিতে সহায়ক হবে।”
ড. কামাল হোসেনের এ পরামর্শ বিশেষজ্ঞ মহলে ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে। অনেকেই মনে করছেন যে সংবিধান সংস্কারের এই প্রক্রিয়া বর্তমান রাজনৈতিক ও সামাজিক চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রেখে একটি সঠিক দিকনির্দেশনা প্রদান করবে।