সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছর অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আজ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বৈঠকটি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস-এর সভাপতিত্বে তেজগাঁওয়ের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এই বিষয়ে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানসমূহে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আওতায় বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের সকল ক্যাডারসহ অন্যান্য সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বছর হবে। তবে প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্ষেত্রে তাদের নিজস্ব নিয়োগ বিধিমালা অনুসরণ করা হবে।
উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্তসমূহ:
- বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের চাকরি: সব ক্যাডারের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩২ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে।
- অন্যান্য সরকারি চাকরি: সিভিল সার্ভিসের আওতাবহির্ভূত সকল সরকারি চাকরিতেও একই বয়সসীমা প্রযোজ্য।
- স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান: স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানসমূহ তাদের নিজস্ব নিয়োগ বিধিমালার সাথে সামঞ্জস্য রেখে বয়সসীমা প্রয়োগ করবে।
গত ১৪ অক্টোবর, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির বিষয়ে সরকার গঠিত কমিটি তাদের সুপারিশ জমা দেয়। কমিটির প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী জানান, বয়সসীমা ছেলেদের জন্য ৩৫ এবং মেয়েদের জন্য ৩৭ বছর করার প্রস্তাবও ছিল। তবে, বর্তমান সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বয়সসীমা ৩২ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে, যা একটি বড় পদক্ষেপ।
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করার ফলে অনেক তরুণ-তরুণীর জন্য নতুন সুযোগের দ্বার উন্মুক্ত হবে। তবে, নতুন নীতিমালার সুষ্ঠু বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে সতর্ক থাকতে হবে।