বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য একটি সুন্দর পরিবেশ তৈরি করা জরুরি। তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচন সংস্কার কমিটি ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছে, এবং জামায়াত তাদের কাজকে আন্তরিকভাবে সমর্থন করবে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) গাইবান্ধা ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে বক্তব্য রাখার পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। শফিকুর রহমান বলেন, সংস্কারের জন্য আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে। আমরা আশা করি, সংস্কার কমিটি যথাযথভাবে কাজ করবে এবং তাদের কাজের ফলাফলের ভিত্তিতে জামায়াত ভবিষ্যৎ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেবে।
তিনি জানান, জামায়াত আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কতটি আসনে প্রার্থী দেবে বা এককভাবে না জোটগতভাবে অংশ নেবে, তা নির্ভর করবে সংস্কার কার্যক্রমের সফলতার ওপর।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, গত ১৫ বছরে দেশে অসংখ্য গুম-খুন এবং বিনা বিচারে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। নির্বাচন হয়েছে নিশিরাতে, যা দেশের গণতন্ত্রের জন্য লজ্জাজনক।” তিনি আরও অভিযোগ করেন যে, ক্ষমতাসীন সরকার দেশে সামরিক বাহিনী এবং বিডিআর ধ্বংস করে দিয়েছে।
জামায়াত আমির বলেন, আমাদের ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ হবে বৈষম্যহীন। সেখানে ধর্মীয় ভেদাভেদ থাকবে না। সংখ্যাগুরু বা সংখ্যালঘু সবাই সমান অধিকার নিয়ে বসবাস করবে।
তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের সম্মান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। কর্মক্ষেত্রে নারীদের মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সঠিক মূল্যায়ন করা হবে।
ডা. শফিকুর রহমান স্বাধীনতার পর থেকে সংখ্যালঘুদের ওপর ঘটে যাওয়া নির্যাতন ও সম্পত্তি দখলের ঘটনার একটি আন্তর্জাতিক তদন্ত করে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানান। তিনি বলেন, যদি জামায়াতের কোনো সদস্য এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকে, তবে তাকে আইনের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
গাইবান্ধা জেলার জনগণের জন্য তিনি একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের দাবি জানান।
দীর্ঘ দেড় যুগ পর গাইবান্ধায় জামায়াতের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে ব্যানার, ফেস্টুনসহ হাজার হাজার নেতাকর্মী মিছিলে যোগ দেন। অনুষ্ঠানস্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।