Search
Close this search box.

মঙ্গলবার- ৭ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সেন্টমার্টিনে পরিবেশবান্ধব পানি সরবরাহ ও বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প বাস্তবায়ন

সেন্টমার্টিনে পরিবেশবান্ধব পানি সরবরাহ ও বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প বাস্তবায়ন
সেন্টমার্টিনে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের সেমেট্রিক ডায়াগ্রাম। ছবি: বাসস

সরকারের উদ্যোগে সেন্টমার্টিন দ্বীপে প্লাস্টিক বোতলের বিকল্পে পরিবেশবান্ধব উপায়ে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, দ্বীপে সৃষ্ট বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হচ্ছে।

প্রকল্পের আওতায় দ্বীপবাসীর জন্য বৃষ্টির পানি, ভূগর্ভস্থ পানি এবং পৃষ্ঠ‌ের পানি পরিশোধন করে সরবরাহ করা হবে। প্রতিদিন প্রক্রিয়াজাত পানির জন্য নির্ধারিত খরচ ব্যবহারকারীদের থেকে বিশেষ কার্ডের মাধ্যমে নেওয়া হবে।

কক্সবাজার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী আবুল মনজুর জানান, “এই প্রকল্পে মানসম্মত পানির নিশ্চয়তা দিতে থাকবে বিশেষ ল্যাবরেটরি।” এছাড়াও নির্মিত হবে পরিবেশবান্ধব অপারেশন বিল্ডিং এবং আন্তর্জাতিক মানের পাবলিক টয়লেট।

সেন্টমার্টিন দ্বীপে প্রতিদিন ৪ টন কঠিন বর্জ্য এবং মানব বর্জ্য সৃষ্টি হয়। এই বর্জ্যকে সমন্বিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার (প্লাজমা রিয়েক্টর) মাধ্যমে বিদ্যুতে রূপান্তর করা হবে। এর আগে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে পরীক্ষামূলকভাবে এই পদ্ধতির সফল প্রয়োগ করা হয়েছে।

পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পেয়েছে টার্ণ বিল্ডার্স, গ্রীণ ডট লিমিটেড এবং ওয়াটার বার্ডস লিমিটেড। টার্ণ বিল্ডার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাহিদ আল হাসান জানান, “প্রকল্পটি দ্রুত শুরু করতে পরিবহন জটিলতা সমাধানের চেষ্টা চলছে।”

পরিবেশবাদীরা মনে করেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে দ্বীপের জীববৈচিত্র্য রক্ষা পাবে। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ এম নজরুল ইসলাম বলেন, “পরিবেশ রক্ষার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ।”

বর্তমানে দ্বীপে প্রতিদিন গড়ে দুই হাজার পর্যটক আসে। এই পর্যটকদের ব্যবহৃত প্লাস্টিক বর্জ্যের কারণে পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই সরকারের এই প্রকল্প দ্বীপের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।

আরও পড়ুন

সম্পর্কিত আরো খবর

জনপ্রিয়