
লন্ডন বৈঠকের পর থেকেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়টি রাজনৈতিক মহলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। দলীয় সূত্র বলছে, তিনি কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দেশে ফিরতে পারেন, তবে চূড়ান্ত দিনক্ষণ এখনও নির্ধারিত হয়নি।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশে ফেরার পর তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের সূচি নির্ধারিত হবে। তিনি বলেন, মহাসচিবের কাছে অনেক বার্তা থাকবে। তিনি সংবাদ সম্মেলনে জানাবেন, কবে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশে ফিরবেন।
দলীয় নেতাকর্মীরা আশাবাদী, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারেক রহমান সরাসরি নির্বাচনী প্রচারণায় নেতৃত্ব দেবেন। এর জন্য তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত বিএনপি ইতিমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছে। ধানের শীষের মনোনয়নপ্রত্যাশীরাও লন্ডনে গিয়ে তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন।
অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, বিএনপির সহ-ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক, বলেন, দীর্ঘ আন্দোলন ও সংগ্রামের পর জনগণ নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি দেখতে চায়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম তুহিন যোগ করেন, ফেব্রুয়ারিতে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে দেশ শান্তির পথে যাবে।
২০০৮ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত তারেক রহমান ভার্চুয়ালি রাজনীতিতে সক্রিয় থাকছেন এবং দলকে দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন। তবে আসন্ন নির্বাচনের আগে দেশে ফেরার সম্ভাবনা নতুন উদ্দীপনা ও উচ্ছ্বাস তৈরি করেছে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে।