জনপ্রিয় ইসলামী বক্তা শায়খ আহমাদুল্লাহ দেশের সংবিধান সংশোধনে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রস্তাব দিয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রতিফলন এবং জাতীয় সংস্কৃতির সুরক্ষা। দেশের বাইরে অবস্থান করায় তিনি সরাসরি আলোচনা সভায় অংশ নিতে না পারলেও তাঁর প্রতিনিধি এই প্রস্তাবনাগুলি উপস্থাপন করবেন বলে জানা গেছে।
শায়খ আহমাদুল্লাহ তাঁর ফেসবুক পেজে দেশের ধর্মীয় মূল্যবোধের গুরুত্ব তুলে ধরে লিখেছেন, "সংবিধানে আমাদের বিশ্বাস ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকা উচিত।" তিনি আশা প্রকাশ করেন, সংশ্লিষ্ট মহল এই প্রস্তাবনাগুলিকে সুবিবেচনায় নেবে এবং দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে সচেষ্ট হবে।
সংবিধানে এমন ধারা সংযোজন করা উচিত যা দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস এবং মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করবে। তিনি আরও বলেন, কোনো ধারা যেন ধর্মীয় বিশ্বাসের পরিপন্থি না হয় এবং এমন কিছু থাকলে তা অপসারণ করা উচিত।
সংবিধানের মূলভিত্তি হিসেবে ‘আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস’ বাক্যটি পুনরায় সংযোজন করার প্রস্তাব দেন শায়খ আহমাদুল্লাহ। এই বাক্যটি আগে সংবিধানে ছিল, যা বিগত সরকার পরিবর্তন করেছে।
শায়খ আহমাদুল্লাহ সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্রের ধারাগুলি বাদ দেওয়ার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এটি দেশের চিরায়ত মূল্যবোধের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার কথা বলেন তিনি। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নৈতিক শিক্ষার ভিত্তি মজবুত করা যাবে।
এই প্রস্তাবনাগুলির মাধ্যমে শায়খ আহমাদুল্লাহ আশা প্রকাশ করেন, সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতি সম্মান দেখানো হবে। সংশ্লিষ্ট মহল এই প্রস্তাবনাগুলিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে বলে তিনি আশাবাদী।